আমাদের সবার জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পোস্ট কোড এর ব্যবহার হয়ে থাকে। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে আমরা নিজেদের পোস্ট কোড কিভাবে বের করব। আমরা ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে অনেক সহজেই নিজেদের পোস্ট কোড বের করতে পারি। তাই আজকে আপনাদেরকে দেখাবো যে ইন্টারনেট ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনারা যেভাবে অতি সহজেই আপনাদের পোস্ট কোড বের করতে পারবেন।
পোস্ট কোড কি এবং তার গুরুত্ব
পোস্ট কোড কে আমরা ইংরেজিতে (জিপ কোড) বলে থাকি। পোস্ট কোড একটি নির্দিষ্ট এলাকে চিহ্নিত করে বা একটি নির্দিষ্ট এলাকার ঠিকানা। পোস্ট করে মাধ্যমে ডাকঘরের কর্মীরা আপনার ঠিকানায় চিঠি বা পার্সেল পাঠাতে সঠিকভাবে পাঠাতে পারে। ইদানিং আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করার মাধ্যমে অনেক পার্সেল অনলাইন থেকে অর্ডার করে থাকি এই পার্সেল গুলো সঠিকভাবে আমাদের ঠিকানায় পৌঁছানোর জন্য পোস্ট কোড অনেক ভাবে সাহায্য করে থাকে। এইজন্য সকলের পোস্ট কোড জানা গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশের পোস্ট কোড এর ইতিহাস
আমরা পোস্ট কোড সম্পর্কে জানার আগে বাংলাদেশে পোস্ট কোড এর ইতিহাস দেখে নেই। বাংলাদেশে ১৯৮৬ সালে পোস্ট কোড এর জন্য এলাকা বরাদ্দ করা হয়। বাংলাদেশে পাঁচটি পোস্ট অফিস রয়েছে এর মধ্যে দুইটি ঢাকায় অবস্থিত এবং বাকিগুলো রাজশাহী, চট্টগ্রাম এবং খুলনায় অবস্থিত। এবং বিশ্বব্যাপী পোস্ট কোড ব্যবহার শুরু হয়েছিল ৯৫০ সালে। বিভিন্ন দেশের মধ্যে মেইল ডেলিভারির চাহিদা বেড়ে যাওয়ার জন্য সঠিক ঠিকানায় ডেলিভারি করতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো। এজন্য সঠিক ঠিকানায় ডেলিভারি করার জন্য পোস্ট কোড নির্মাণ করা হয়। এখন পোস্ট কোডের মাধ্যমে অনেক সহজেই নির্দিষ্ট পার্সেল নির্দিষ্ট এলাকা এবং ঠিকানায় ডেলিভারি করা যায়।
পোস্ট কোড যে যে মাধ্যমে বের করা যায়
আমরা প্রধানত তিন ভাবে পোস্ট কোড বের করতে পারি। প্রথমত আপনারা আপনাদের এই আইডি কার্ড ব্যবহার করে আপনাদের পোস্ট কোড বের করতে পারেন। এছাড়াও আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে বাংলাদেশের ডাকঘর বিভাগ ওয়েবসাইট থেকে এর পাশাপাশি উইকিপিডিয়া থেকেও আমরা আমাদের পোস্ট কোড বের করতে পারি।
NID কার্ড এর মাধ্যমে যেভাবে পোস্ট কোড বের করবো
আপনারা ইন আইডি কার্ডের মাধ্যমে অনেক সহজে এবং নির্ভুলভাবে আপনাদের পোস্ট কোড বের করতে পারবেন। আপনারা যদি আপনার NID ব্ল্যাক প্লেট এ খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন সেখানে আপনাদের ঠিকানা দেওয়া রয়েছে। ঠিকানায় লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন সেখানে ডাকঘর এর পাশে আপনার পোস্ট কোড দেওয়া রয়েছে। আপনি সেখানে থেকে অতি সহজেই আপনার পোস্ট কোড দেখে নিতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে সেই NID কার্ডটি আপনার নিজস্ব এলাকার।
ডাকঘর অভিদপ্তর থেকে পোস্ট কোড বের করা
আপনারা চাইলে ডাকঘর অধিদপ্তর এর ওয়েবসাইট থেকেও অতি সহজে আপনাদের পোস্ট কোড বের করতে পারেন। ডাকঘর অবিভক্ত এর ওয়েবসাইট থেকেও আপনারা অতি সহজেই আপনাদের পোস্ট কোড বের করতে পারবেন।
ঠিকানাঃ
বাংলাদেশ ডাকঘরএই ওয়েবসাইটটি বাংলাদেশের সরকারের ডাক অভিদপ্তর দ্বারা পরিচালিত হয়। এখানে অতি সহজেই আপনি বাংলাদেশের সকল বিভাগ জেলা এবং উপজেলার পোস্ট কোড বের করতে পারবেন।
এখানে আপনি অতি সহজেই আপনার ঠিকানা সার্চ বক্সে দেওয়ার মাধ্যমে আপনার পোস্ট কোড বের করতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি আপনার ঠিকানা নির্বাচন করার মাধ্যমেও এই ওয়েবসাইট থেকে আপনাদের পোস্ট কোড বের করতে পারবেন।
উইকিপিডিয়া তালিকা অনুযায়ী পোস্ট কোড বের করা
আপনারা হয়তো অনেকেই উইকিপিডিয়ার নাম শুনেছেন এবং অনেকেই উইকিপিডিয়া সম্পর্কে জানেন। পৃথিবীর সকল ইনফরমেশন উইকিপিডিয়ার মধ্যে রয়েছে তেমনি বাংলাদেশের ডাকঘর পোস্টকোডের তালিকায় রয়েছে উইকিপিডিয়ার মধ্যে। আপনারা উইকিপিডিয়ার মাধ্যমে আপনাদের পোস্ট কোড দেখে নিতে পারবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url