ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে কিভাবে বের করবো
পোস্ট কোড কিভাবে বের করবো
এখন আর ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য শুধু মোবাইল ডেটা ইন্টারনেট প্যাক গুলোর উপরে নির্ভর হতে হয় না। ওয়াইফাই ইন্টারনেট ব্যবহার করার একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ওয়াইফাই স্থাপনের জন্য প্রথমে একবার খরচ করতে হয়, এরপর তা ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য সবচেয়ে সুবিধা জনক মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। এ কারণে এটি দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, এখন ওয়াইফাই প্রতিটি ঘরে ঘরে পাওয়া যায়।
ওয়াইফাই ব্যবহার করার অনেক সুবিধা রয়েছে, যেমন মোবাইল ডেটা ব্যবহার
করার জন্য আমাদের প্রতিনিয়ত ইন্টারনেট প্যাক ক্রয় করতে হয় যা অনেক ব্যয়বহুল
এবং নির্দিষ্ট মেয়াদ ও ব্যবহারের সীমা রয়েছে। কিন্তু ওয়াইফাই ব্যবহারে
এমন কোন সীমা নেই, মাসে একবার টাকা দিলেই আমরা কোন সীমা ছাড়া যত খুশি
ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারব।
পোস্ট সূচীপত্রঃ ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে কিভাবে বের করবো
কানেক্ট করা ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড দেখার উপায়
আপনারা অনেকেই নিজেদের ওয়াইফাই এর পাসওয়ার্ড ভুলে যান এবং সেটি কিভাবে
দেখতে হয় সে সম্পর্কে জানেন না। অথবা আপনার মোবাইলে কানেক্ট থাকা অন্য কারো
ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড যদি দেখতে চান এটি অনেক সহজেই দেখতে পারবেন।
এর জন্য প্রথমে আমাদেরকে আমাদের ওয়াইফাই এর সেটিং ওপেন করে নিতে হবে। এরপরে
আপনার কানেক্টেড ওয়াইফাই এর নামের নিচে খেয়াল করবেন Tap to Share লেখা রয়েছে
আপনি যদি সেখানে ক্লিক করেন তাহলে QR কোড এর একটি অপশন ওপেন হবে যেটার উপরে
ওয়াইফের পাসওয়ার্ড লিখা থাকে এইখানে আপনি সহজেই ওয়াইফাই এর পাসওয়ার্ড দেখতে
পারবেন। যেমন আমার ক্ষেত্রে পাসওয়ার্ড দেওয়া আছে "00000000"।
অন্য আরেকটি মোবাইল থেকে এই QR কোডে স্ক্যান করার মাধ্যমে আপনি সেই মোবাইলে ও
ওয়াইফাই টি কানেক্ট করতে পারবেন। এখন বেশিরভাগ স্মার্ট মোবাইলে এই ফিচারটি
রয়েছে তবে কিছু পুরাতন মোবাইলে এই সুবিধাটি নাও থাকতে পারে।
কিভাবে ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করতে হয়
ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা অনেক সহজ, পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করার জন্য
আপনাকে প্রথমে 192.168.0.1 এড্রেসে ক্লিক
করে আপনার রাউটারের কন্ট্রোল প্যানেল ওপেন করে নিতে হবে। বাংলাদেশের
বেশিরভাগ রাউটারের কন্ট্রোল প্যানেলে এই আইপি দিয়ে প্রবেশ করা
যায়। তবে আপনার যদি ওপরে আইপি কাজ না করে সেক্ষেত্রে 192.168.1.1 এই আইপি দিয়ে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন।
আইপি অ্যাড্রেসের প্রবেশ করলে এরকম একটি উইন্ডো আসবে, আপনাদের রাউটারের উপরে
ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের হতে পারে তবে সকল সেটিং একই ধরনের হয়ে
থাকে। প্রথমত আমাদেরকে আইডি পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে। সাধারণত
আমরা যাদের কাছ থেকে ওয়াইফাই এর সংযোগ নিয়ে থাকি তারা ইউজার পাসওয়ার্ডটি
পরিবর্তন করে না। এর জন্য আপনার ডিফল্ট আইডি এবং পাসওয়ার্ড admin /
admin প্রবেশ করে দেখতে পারেন। যদি আপনার লগইন না হয় সে ক্ষেত্রে আপনি
যার কাছ থেকে ইন্টারনেট সংযোগ নিয়েছেন তার কাছ থেকে লগইন আইডির পাসওয়ার্ড জেনে
নিতে পারেন।
রাউটারের কন্ট্রোল প্যানেলের লগইন হয়ে গেলে আপনার সামনে এরকম একটা উইন্ডো ওপেন
হবে।
এখান থেকে আপনি অতি সহজে আপনার ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড বের করতে পারবেন। এর
জন্য প্রথমে আপনাকে সাইড বার থেকে Wireless বাটন এ ক্লিক করতে হবে এবং
তারপরে Wireless Security তে ক্লিক করলেই আপনি আপনার ওয়াইফাই
পাসওয়ার্ড দেখতে পারবেন। আপনার ইচ্ছামত পাসওয়ার্ড দিয়ে নিচে সেভ বাটনে ক্লিক
করলে আপনার পাসওয়ার্ড সফলভাবে সেভ হয়ে যাবে।
ওয়াইফাই নাকি মোবাইল ডেটা কোনটি সেরা
অনেকেই ওয়াইফাই এবং মোবাইল ডেটা নিয়ে বিভ্রান্ত থাকেন যে কোনটি ব্যবহার করা
উচিত। ওয়াইফাই এবং মোবাইল ডেটার দুইটি আলাদা সুবিধা রয়েছে, কখন কোথায় এটি
ব্যবহার করা হচ্ছে, ইন্টারনেট স্পিড, খরচ এবং বিভিন্ন দিকের উপরে এটি
নির্ভর করতে পারে। তাহলে জেনে নিন ওয়াইফাই নাকি মোবাইল ডাটা কোনটি আপনার
জন্য সেরা।
ওয়াইফাই
ওয়াইফাই তাদের মাধ্যমে আপনার বাসায় লাগানো হয় এর ফলে অনেক দ্রুত গতিতে
ইন্টারনেট পাওয়া যায়। এজন্য ওয়াইফাই দ্রুতগতির জন্য সেরা, যা বিশেষ করে
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, অফিস, কিংবা আপনার ইন্টারনেটের অতিরিক্ত গতির প্রয়োজন
হলে বাসায় লাগানো হয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ জিমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পদ্ধতি
ওয়াইফাই ব্যবহারের জন্য প্রতি মাসেই কি নির্দিষ্ট খরচ দিলে কোন বাধা ছাড়া যত
ইচ্ছা ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। এটি অফুরন্ত ইন্টারনেটের মতো কাজ করে
যাদের অতিরিক্ত ইন্টারনেটের প্রয়োজন হয় তার জন্য এটি সেরা।
ওয়াইফাই ব্যবহার করার জন্য তারের মাধ্যমে সংযোগ দেওয়া হয়, এর জন্য এটি
একটি নির্দিষ্ট স্থানে স্থাপন করা হয় যেমন আপনার বাসা বা অফিস।
নিরাপত্তা ক্ষেত্রে ওয়াইফাই সেরা, কিন্তু আমাদের খেয়াল রাখতে হবে আমরা
পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার না করি পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করলে হ্যাক হয়ে যাওয়ার
ঝুঁকি থাকে। কিন্তু ব্যক্তিগত ওয়াইফাই আপনাকে নিরাপত্তা দিয়ে থাকে যা
হ্যাক করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে।
মোবাইল ডেটা
মোবাইল ডাটা তারবিহীন মাধ্যমে নেটওয়ার্ক টাওয়ার এর ব্যবহার করে আমাদের কাছে
ডেটা পাঠায়, সেক্ষেত্রে আমরা যদি নেটওয়ার্ক কাভারেজ এর মধ্যে না
থাকি তাহলে আমাদের ইন্টারনেটের গতি অনেক কম হয়ে যাবে। মোবাইল
ডাটার ক্ষেত্রে 4G বা 5G থাকলে ভালো ইন্টারনেটের গতি পাওয়া
যায়। কিন্তু এজন্য আমাদেরকে নেটওয়ার্ক কাভারেজের মধ্যে থাকতে হয়।
মোবাইল ডাটা আমাদেরকে বিভিন্ন ইন্টারনেট প্যাকেজ এর মাধ্যমে ক্রয় করতে
হয়। যা নির্দিষ্ট এমবি বা জীবিত সীমাবদ্ধ থাকে এবং সেগুলো নির্দিষ্ট মেয়াদ
থাকে যার পরে সেই প্যাকগুলো আর ব্যবহার করা যায় না। অতিরিক্ত ইন্টারনেটের
প্রয়োজন হয়ে থাকলে মোবাইল ডাটা কিনে ব্যবহার করা অনেক ব্যয়বহুল হয়ে যায়।
মোবাইল ফোনে ডাটা কিনা থাকলে আমরা যে কোন জায়গায় ইন্টারনেট ব্যবহার করতে
পারি। ওয়াইফাই'র মত আমাদের কোন নির্দিষ্ট স্থানে থাকতে হয় না। মোবাইল
ফোনে ডাটা ব্যবহার করা এটি অনেক বড় একটি সুবিধা। আপনি যদি বেশিরভাগ সময়
বাইরে কাটান, বা আপনার কাজের জন্য বেশিরভাগ সময় বাইরে থাকতে হয় সে
ক্ষেত্রে আপনার জন্য একটি সেরা।
মোবাইল ফোন বেশি নিরাপত্তা প্রদান পারে, কেননা এটি ব্যক্তিগত একটি
কানেকশন। যার ফলে একটি নিরাপদ নেটওয়ার্ক প্রদান করে থাকে। অনেক পাবলিক
ওয়াইফাই ব্যবহার হলে আপনার বয়ফ্রেন্ড হ্যাক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা
রয়েছে। সুতরাং বলা যায় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মোবাইল ডেটা অনেকটা
এগিয়ে রয়েছে।
তাহলে আপনি কোনটা ব্যবহার করবেন
স্পিডের দিক থেকে ওয়াইফাই অনেকটা আগে থাকে, এটি ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবলের
মাধ্যমে অনেক দ্রুত গতিতে ইন্টারনেট সরবরাহ করে থাকে। এক্ষেত্রে মোবাইল
ডেটা কিছুটা পিছিয়ে থাকে। নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য ওয়াইফাই
সেরা কেননা ওদের পরিমাণে মোবাইল ডাটা কিনা অনেকটা ব্যয়বহুল। ওয়াইফাই
ব্যবহারে কোন বাধা ছাড়া যত ইচ্ছা ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। বাইরে থাকা
বা ভ্রমণের ক্ষেত্রে ওয়াইফাই ব্যবহার করা যায় না। এজন্য বাইরে থাকার
ক্ষেত্রে মোবাইল ডেটা উত্তম।
QR কোড বানিয়ে পাসওয়ার্ড শেয়ার করার সহজ উপায়
এখন ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড মুখে বলার দরকার নেই পাসওয়ার্ড শেয়ার করার জন্য আমরা
QR কোড তৈরি করতে পারি। এই মাধ্যমে আমরা অতি সহজে আমাদের পাসওয়ার্ড না
জানিয়ে অন্আযদের কে আমাদের ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড দিতে পারে।
এর জন্য আমাদেরকে প্রথমে আমাদের ওয়াইফাই সেটিং ওপেন করে নিতে হবে। আমাদের
ওয়াইফাই এর নামের নিচে একটি Tap to Share আর লেখা আছে আমরা সেখানে
ক্লিক করলে QR তৈরি হয়ে যাবে।
এখন এই করতে কেউ স্ক্যান করার মাধ্যমে আপনার ওয়াইফের সাথে কানেক্ট করতে
পারবে। এছাড়াও একটি আপনারা স্ক্রিনশট নিয়ে আপনার প্রতিবেশীদেরকে
ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে দিতে পারেন।
আপনার ওয়াইফাই কতো জন চালাচ্ছে দেখে নিন
আপনার মনে অনেক সময় সন্দেহ হয়ে থাকে যে আপনার ওয়াইফাই চুপি চাপি কেউ ব্যবহার
করছে কিনা। কি আর করে মাধ্যমে অনেক সহযোগী ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড শেয়ার করা
যায়। এজন্য আপনি যদি কাউকে পাসওয়ার্ড দিয়ে থাকেন সে অতি সহজে
অন্যদেরকে পাসওয়ার্ড শেয়ার করতে পারবে।আপনারা অতি সহজে দেখতে পারবেন যে আপনার
ওয়াইফাই কতজন ব্যবহার করছে।
এজন্য আপনাকে প্রথমে 192.168.0.1
অথবা 192.168.1.1 IP টি ওপেন
করে আপনার রাউটার এর কন্ট্রোল প্যানেলে admin/admin ইউজার এবং
পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করে নিতে হবে।
এর পরে আপনাদেরকে মূল মেনু লিস্ট থেকে DHCP অপশনটিতে ক্লিক করে DHCP
Client List ওপেন করে নিতে হবে। এখানে আপনি দেখতে পারবেন আপনার
ওয়াইফের সাথে কতগুলো ডিভাইস কানেক্ট করা আছে। এবং সে ডিভাইস গুলোর নামও
দেখতে পারবেন।
এছাড়া মোবাইলে বিভিন্ন অ্যাপ রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি দেখতে পারবেন আপনার
ওয়াইফাই কত ব্যবহার করছে।
অ্যাপস যেমনঃ
- TP-Link Tether
- Mi WiFi
- D-Link WiFi
একটি জনপ্রিয় অ্যাপ এর নাম হলো Fing এটি Android এবং iOS দুটিতেই অনেক
জনপ্রিয় একটি অ্যাপ আপনি চাইলে এটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। আপনার
ওয়াইফের সাথে যদি অনেকগুলো ডিভাইস কানেক্ট থাকে তাহলে আপনি পাসওয়ার্ড পরিবর্তন
করে দিতে পারেন।
কেননা বেশি ডিভাইস আপনার ওয়াইফের সাথে কানেক্ট থাকলে এটা আপনার গতির উপরে প্রভাব
ফেলতে পারে এবং আপনার ইন্টারনেটের গতি স্লো করে দিতে পারে।
ওয়াইফাই WPA2 নাকি WPA3
আপনাদের অনেকে মনে প্রশ্ন থাকতে পারে WPA আসলে কি, এটি দ্বারা কি করা
হয়ে থাকে। কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সুরক্ষিত রাখার জন্য কয়েকটি
সার্টিফিকেসন প্রোগ্রাম তৈরি করা হয় যাকে আমরা WPA বলে থাকি। মোট
তিনটি WPA সার্টিফিকেশন রয়েছে যেগুলো হলো (WPA), (WPA2),
(WPA3)। তিনটি সার্টিফিকেশনের মধ্যে WPA3 উত্তম কেননা এটি (WPA) এবং
(WPA2) এর থেকে সকল ভুল ত্রুটি সমাধান করে বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে
নেটওয়ার্ক সুরক্ষা করার জন্য। অনেকগুলো রাউটার WPA3 সুবিধা
রয়েছে। আপনাদের রাউটারে WPA3 সার্টিফিকেসন প্রোগ্রাম থাকলে অবশ্যই
টি ব্যবহার করবেন এটি আপনার নেটওয়ার্কে আরও বেশি সুরক্ষিত করে তুলবে।
আপনার ওয়াইফাই সুরক্ষিত রাখবেন যেভাবে
ওয়াইফাই শুধু ইন্টারনেট দিয়ে থাকে না এটির মধ্যে আপনার ব্যক্তিগত ডাটাও
থাকে। আপনার ওয়াইফাই কেউ হ্যাক করলে ব্যক্তিগত তথ্য সম্পর্কে জানতে
পারবে। এজন্য আমাদের ওয়াইফাই সুরক্ষিত রাখা অনেক জরুরী। চলেন জেনে
নেই আমরা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করার মাধ্যমে নিজেদের ওয়াইফাই সুরক্ষিত রাখতে
পারব।
প্রথমত আমাদেরকে রাউটারের এডমিন প্যানেলে সুরক্ষিত রাখতে হবে। আপনার
অনেকেই জানেন আমাদের এডমিন প্যানেলের ডিফল্ট এডমিন পাসওয়ার্ড admin /
admin হয়ে থাকে এবং এটি অনেকে জানে। এই ক্ষেত্রে যদি আমরা একটি
পরিবর্তন করে ফেলি সে ক্ষেত্রে আমাদের এডমিন প্যানেলে লগইন করতে পারবেনা।
অনেক গুলো অ্যাপস রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড হ্যাক করা
যায়। তবে আমরা যদি একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করি বিভিন্ন সংখ্যা
ছোট বড় হাতের অক্ষর এবং চিহ্ন দিয়ে। সে ক্ষেত্রে একটি হ্যাকারের পক্ষেও
আপনার ওয়াইফের পাসওয়ার্ড হ্যাক করা কঠিন হয়ে পড়বে। আপনারা সবাই চেষ্টা
করবেন আপনার ওয়াইফাই এর জন্য একটি শক্তিশালী পাসপোর্ট তৈরি করা।
আপনার রাউটারে WPA3 থাকলে ব্যবহার করুন। এটা আপনার ওয়াইফাই এর
সুরক্ষা অধি পরিমাণে বাড়িয়ে দিবে। এখন বেশিরভাগ রাউটারের এই সুবিধা থাকে
তবে যদি এটি আপনার না থাকে তাহলে অবশ্যই WPA2 চালু করে রাখুন।
এছাড়া বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়াইফাইকে সুরক্ষিত
রাখতে পারবেন। তবে আশা করি এই তিনটি সহজ পদক্ষেপ আপনারা গ্রহণ করার
মাধ্যমে অতি সহজেই আপনার ওয়াইফাই এর সুরক্ষা করতে পারবেন।
লেখকের শেষ কথা
মোবাইল ডাটা এবং ওয়াইফাই দুটি গুরুত্বপূর্ণ, বাসা এবং অফিসের জন্য ওয়াইফাই
সেরা কিন্তু আমরা যদি বেশিরভাগ সময় থাকি সেক্ষেত্রে মোবাইল ডেটা
আমাদের জন্য বেশি উত্তম। ওয়াইফাই অনেক সুবিধা রয়েছে কিন্তু আমাদের
ওয়াইফাই সুরক্ষা করা প্রয়োজন যেন অন্য কেউ আমাদের তথ্যর ভুল ব্যবহার না করতে
পারে। প্রিয় পাঠক আপনাদের উদ্দেশ্যে ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড ভুলে
গেলে কিভাবে বের করব এই ব্লগটি লিখা আপনারা যদি এ ব্লগটি ভাল
লাগে তাহলে অবশ্যই আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করতে পারেন যেন তারা জানতে
পারে কানেক্ট করা ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড দেখার উপায়, কিভাবে ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড
চেঞ্জ করতে হয়, ওয়াইফাই নাকি মোবাইল ডেটা কোনটি সেরা, QR কোড বানিয়ে
পাসওয়ার্ড শেয়ার করার সহজ উপায়, আপনার ওয়াইফাই কতো জন চালাচ্ছে দেখে নিন,
ওয়াইফাই WPA2 নাকি WPA3, আপনার ওয়াইফাই সুরক্ষিত রাখবেন যেভাবে ইত্যাদি।
টেক সমাজের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url