ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার ১০টি উপায়

চিয়া সিডের উপকারিতা এবং অপকারিতা

আমরা অনেকে ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখার জন্য বাজারে পাওয়া বিভিন্ন ক্ষতিকারক রাসায়নিক ক্যামিক্যাল যুক্ত লোশন, ক্রিম এবং মশ্চারাইজার ব্যবহার করে থাকি। এগুলো অল্প সময়ের জন্য আমাদের উজ্জ্বলতা বাড়ি থাকলেও দীর্ঘ মেয়াদে ত্বকের বিভিন্ন ক্ষতি করে থাকে।

ঘরোয়া-পদ্ধতিতে-ফর্সা-হওয়ার-১০টি-উপায়

এই জন্য বাজার পাওয়া পণ্য ব্যবহার করার থেকে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করা উত্তম। আমার বিভিন্নভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বারিয়ে ত্বককে ফর্সা করতে পারি। আজকের ব্লগে আপনারা কে জানাবো কিভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে নিরাপদ ও কার্যকর ভাবে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে ফর্সা করবেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার ১০টি উপায়

কোন ভিটামিন খেলে চেহারা সুন্দর হয়

সুষম খাদ্য আপনার ত্বকের গঠনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা রাখে। ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাদ্যে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন থাকে যা আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। ভিটামিন সি, ভিটামিন  ই, জিংক এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের এর মত গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিকর উপাদান আমাদের
ত্বককে বিভিন্ন ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।

ভিটামিন সিঃ আপনার অনেকেই জানেন যে ভিটামিন সি এর প্রধান উৎস লেবু, কমলা, স্ট্রবেরি এবং শাকসবজি। ভিটামিন সি এর মধ্যে থাকে কোলাজেন ত্বক কে উজ্জ্বল দেখাতে সাহায্য করে। এবং ভিটামিন সি গ্রহণের ফলে একটি আমাদের দেহে মেলানিন উৎপাদন কমায় যার ফলে ত্বকের কালো দাগ দূর হয়ে যায়।

ভিটামিন ইঃ ভিটামিন এ বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া যেমন বাদাম, বীজ জাতীয় খাবার, পালং শাক, এভোকাডো ইত্যাদি থেকে। ভিটামিন ই গ্রহণ করার ফলে এটি আমাদেরকে পরিবেশগত ক্ষতি থেকে ত্বকে রক্ষা করে। এটি আমাদের ত্বকের দাগ কমাতে এবং নিরাময় করতে সাহায্য করে।

জিংকঃ জিংক আমরা সাধারণত পেয়ে থাকি কুমড়োর বীজ, বাদাম এবং ডাল জাতীয় খাবার থেকে। যারা ব্রণের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য জিংক একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এর পাশাপাশি ত্বকে জ্বালাপোড়া কমিয়ে ত্বকে শান্ত করে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টঃ বিভিন্ন উপাদান যেমন গ্রিন টি, ডার্ক চকলেট এবং বেরির মতো  অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাওয়া রয়েছে যা ত্বককে বিভিন্ন ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে।

রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকের যত্ন

অনেকেই তাদের ত্বকের যত্ন নিয়ে সচেতন থাকে কিন্তু
রাতে তাদের ত্বকের যত্ন নিতে ভুলে যায়। ঘুমের সময় আপনার সবচেয়ে কার্যকরী ভাবে নিজেকে মেরামত এবং পুণ্য জীবিত করে। এবং ঠিকভাবে না ঘুমালে ত্বকের বিভিন্ন ক্ষতি হতে পারে যেমন চোখের নিচে কালো দাগ, ত্বকে সূক্ষ্ম রেখা এবং ঘুমের অভাবের কারণে বসে ত্বকে ব্রণের মাত্ররাও বেড়ে যেতে পারে। আশা করি আপনারা বুঝতেই পারছেন যে ঘুম ত্বকের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

ঘুমানোর সময় আমাদের শরীরে রক্ত সঞ্চালনের উন্নতি হয় ফলে এই সময় ত্বকে কোলাজেন ও ইলাস্টিন তৈরি হয় যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে এবং কালো দাগ, সূক্ষ্ম রেখা ও বার্ধক্যের লক্ষণ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন নিয়মিত ৭ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন এবং প্রতিদিন একই সময় ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এটি শুধু আপনার ত্বক নয় আপনার স্বাস্থ্য ও মানসিক সতেজতার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে পানির গুরুত্ব

শরীরকে হাইড্রেট রাখা অর্থাৎ শরীরের পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি থাকা ত্বক এবং স্বাস্থ্যের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ত্বকের উজ্জ্বলতা নির্ভর করে পানির মাথার উপরে এজন্য যাদের নিয়মিত পানি খাবার অভ্যাস নেই তারা এই অভ্যাসটিই গড়ে তুলতে পারেন। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাওয়া শুধু ত্বক না আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের রোগ থেকে এবং আমাদের ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও সাহায্য করে থাকে। শরীরে পানির ঘাটতি হলে এটি আমাদের ত্বককে শুষ্ক করে ফেলে এছাড়াও বিভিন্ন ক্ষতিকর টক্সিন জমতে থাকে যা আমাদের ত্বকের অনেক ক্ষতি করে।
আমাদের খাদ্য তালিকায় পানি এবং উচ্চ জলীয় খাদ্য উপাদান গুলো যেমন শশা, তরমুজ, কমলা, শাকসবজি, ফলমূল ইত্যাদি পরিমান বাড়ানো প্রয়োজন। এবং প্রতিদিন অত্যন্ত ৮ ক্লাস ফানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলুন এটি আপনার স্বাস্থ্য এবং ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য পানির কোন বিকল্প নেই।

ক্রিম ব্যবহার করে ত্বক ফর্সা করার ক্ষতিকারিতা

আপনারা অবশ্যই ত্বক ফর্সাকারী ক্রিমের বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখেছেন, সেগুলো কি আসলেই ত্বক ফর্সা করে? এ সকল ক্রিম বিভিন্ন কৃত্রিম রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে যার ফলে এটি আপনাকে কিছু সময়ের জন্য উজ্জ্বলতা দিলেও আপনার ত্বকের অনেক ক্ষতি করে থাকে, যা পরবর্তীতে কোনভাবে ঠিক করা সম্ভব নয় এজন্য এসব খুব ক্রিম ব্যবহার করা একদম উচিত নয়। প্রকৃতির মধ্যে সকল সমস্যার সমাধান রয়েছে আমাদের স্বাস্থ্য, বিভিন্ন রোগ এবং ত্বকের বৃদ্ধির জন্য অনেক উপাদান রয়েছে। সুতরাং আমাদের সেই সকল ক্রিম এর পরিবর্তে প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
ত্বকের-উজ্জ্বলতা-বাড়াতে-পানির-গুরুত্ব

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার ১০টি উপায়

প্রকৃতিতে বিভিন্ন অপরাধ রয়েছে যেগুলো আমাদের সুস্বাস্থ্য এবং আমাদের শরীরের বিভিন্ন সমস্যা রোগ দূর করতে সাহায্য করে। এর মধ্যে কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলো আমরা প্রতিনিয়ত ব্যবহার করি কিন্তু তার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা জানি না। প্রকৃতিক উপাদান দিয়ে শুধু ত্বককে উজ্জ্বল, মসৃণ করতে এবং মুখের সকল দাগ দূর করতে সাহায্য করে। আজকে আপনার সাথে প্রাকৃতিক উপাদানের কথা বলব যেগুলো আপনার জন্য অনেক উপকারী।

নিম পাতা

নিমের মধ্যে বিভিন্ন অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যার ব্যবহার করার ফলে আমরা অতি সহজে আমাদের মুখ থেকে ব্রণ এবং এর দাগ দূর করতে পারব। নিম পাতার মধ্যে শীতলকারী একটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা তাকে লালচে ভাব দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল এবং ফর্সা করতে সাহায্য করে। এবং ত্বক থেকে দূষণ ও ময়লা পরিষ্কার করে ত্বককে আরো মসৃণ এবং উজ্জ্বল করে তোলে।

ঘরোয়া মাস্ক প্যাক গুলোর মধ্যে নিমপাতা এবং চন্দন দিয়ে তৈরি মাস্ক অত্যন্ত কার্যকরী এবং জনপ্রিয়। এটি আপনার ত্বকের গভীর থেকে ময়লা দূর করে এবং আপনার ত্বক থেকে সূক্ষ্ম রেখা দূর করার পাশা পাশি ত্বক কে টানটান করে তুলে। এইটি অনেক কার্যকরী একটি মাস্ক যার নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনার ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল করে তুলবে।

অ্যালোভেরা জেল

আপনারা অনেকে এলোভেরার গুরুত্বপূর্ণ দিক সম্পর্কে জানেন, অ্যালোভেরার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যেমনঃ অ্যানথ্রাকুইনোন, লিগনিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এলোভেরা আমাদের ত্বককে ফর্সা করতে সাহায্য করে এর পাশাপাশি সূর্যের অতিবেগুণশীল রশ্মি থেকে আমাদের ত্বককে রক্ষা করে। অ্যালোভেরা বিভিন্ন ধরনের ফেসওয়াশ, মাস্ক আরও বিভিন্ন পণ্য পাওয়া যায় এগুলোর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম পদার্থ থাকে এজন্য সরাসরি অ্যালোভেরার পাতা ব্যবহার করা উত্তম।

এলোভেরা  পাতা সংগ্রহ করে সরাসরি মুখে লাগানোর চাই। কিন্তু এলোভেরা এবং মধু দিয়ে তৈরি মাস্ক অনেক জনপ্রিয়। এছাড়াও ব্রাউন সুগারের সাথে মিশিয়ে একটি উজ্জ্বল স্ক্রাব ও  তৈরি করা যায়।

বেসন ফেসপ্যাক

আপনার হয়তো বেসনের ব্যবহার বিভিন্ন ভাজাপোড়া বা রান্নায় কাজে দেখেছেন, কিন্তু বেতন শুধু রান্নার কাজে নয় বরং ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে একটি উপকারী প্রাকৃতিক উপাদান। ভীষণ পুষ্টিগণের একটি প্রাকৃতিক উপাদান যার মধ্যে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, নিয়াসিন, রাইবোফ্লাভিন, ফোলেট অ্যাসিড এবং অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা আমাদের ত্বকের আদ্রতা এবং অতিরিক্ত তেল দূর করে।

বেসন প্রতিদিন পানির সাথে মিশিয়ে স্ক্রাবারের মতো ঘষে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি ব্যবহারের ফলে আমাদের ত্বককে নরম, সুস্থ, এবং প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল করে তুলবে।

হলুদের উপরকারিতা

রূপচর্চা এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য হলুদ একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য যা আমাদের ত্বকের ব্রণ প্রবণ দূর করতে সাহায্য করে। হলুদের প্রধান উপাদান হলো কারকিউমিন যা ত্বকের রং হালকা করে এবং ত্বকেকে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল করে তোলে। ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং সৌন্দর্য বজায় রাখার জন্য হলুদ একটি জনপ্রিয় উপাদান।
নিয়মিত হলুদের তৈরি মাস্ক তৈরি করে ব্যবহার করলে আমাদের ত্বকে উজ্জ্বল করার পাশাপাশি ত্বককে করবে কোমল, পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর।

আলুর রস

আপনারা বসে ভাবছেন যে আলু দিয়ে কিভাবে ফর্সা হওয়া যায়। আলুর মধ্যে প্রচুর ভিটামিন বি৬ রয়েছে। এটি ত্বকের রং উজ্জ্বল করতে অনেক সাহায্য করে, আপনারা অনেকেই মুখের দাগ নিয়ে সমস্যায় থাকেন, আলোর পেস্ট তৈরি করে অথবা রস বের করে মধু মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন।এই মাস্কটি মুখের দাগ দূর করতে অনেক কার্যকরী।

দইয়ের ফেসমাস্ক

আপনারা হয়তো দেখেছেন দই থেকে তৈরী মাস্ক অনেকেই রূপচর্চার জন্য ব্যবহার করে থাকে। দই এর মধ্যে থাকে ইলেকট্রিক এসিড যা সংবেদনশীল ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। আলতো করে ত্বকে দই লাগালে ত্বককে করে মসৃণ এবং উজ্জ্বল। এবং নিয়মিত দই ব্যবহার করলে ত্বকের দাগ দূর করার পাশাপাশি ত্বকের রং উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি ব্যবহার করার সেরা উপায় হলো যে মাস্ক এর সাথে মিশিয়ে লাগানো।

পেঁপের গুরুত্ব

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য অনেকে নিয়মিত পেঁপে ব্যবহার করে থাকে। পেঁপের মধ্যে আছে পেপেইন যা কোষের পরিবর্তনে বৃদ্ধি করে তাকে ভিতর থেকে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। প্রাকৃতিকভাবে মুখের দাগ দূর করার জন্য পেঁপে একটি সেরা উপাদান এবং এটি ব্যবহার করাও অতি সহজ। আপনি কয়েকটি পেপের টুকরো নিয়ে সেগুলোকে পিষে নিন এবং একটি মসৃণ পেস্টে বানিয়ে নিন। এটি প্রয়োজন মত ব্যবহার করুন এবং 20 মিনিট লাগিয়ে পরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

মধু উপরকারিতা

একটি চমৎকার উপাদান এবং প্রাকৃতিক সেরা উপহার। মধুর মধ্যে বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে যেগুলো আমাদের বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে, আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এছাড়া এটি ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। মধু একটি প্রাকৃতিক মসচারাইজার, এটি আমাদের তত্ত্বের উজ্জ্বল করার পাশাপাশি ব্রণ প্রতিরোধ করে। উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার জন্য আপনি মুখে সরাসরি মধু ব্যবহার করতে পারেন অথবা মাস্ককে মিশিয়ে নিতে পারেন।

লেবু ফেসপ্যাক

তোকে সুন্দর তো বৃদ্ধির জন্য অনেকের লেবু ব্যবহার করে থাকে, প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট। লেবুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যা ত্বককে আরও দৃঢ় ও টানটান করে তোলে। লেবুর মধ্যে এন্টি ব্যাকটেরিয়া বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। লেবুর সাধারণত সরাসরি ত্বকের ব্যবহার করা হয় না, এটি দই কিংবা মধুর সাথে মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে ব্যবহার করা হয়। সেরা ফলাফল পাওয়ার জন্য সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার রাতে এটি লাগান।

শসার শীতল স্পর্শ

তোকে উজ্জ্বলতা ভারতে ফর্সা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ত্বকের শীতল বৈশিষ্ট্যটার কারণে এটি ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে এবং ত্বকের সকল কালো দাগ দূর করতেও এটি সেরা। শসা ত্বকের অতিরিক্ত তেল কমায় এবং মুখ কে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। শসা মুখে ব্যবহার করা অনেক সহজ এর জন্য প্রথমে শসা থেকে এর রস বের করে নিতে হবে এবং এটি মুখে ১৫ মিনিটের জন্য লাগিয়ে রেখে দিতে হবে, পরে এটি পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি চাইলে প্রতিদিনের ব্যবহার করা যায় কেন এটি প্রাকৃতিক এবং ত্বকের জন্য নিরাপদ।

লেখকের শেষ কথা

তোকে রং এবং গঠন সম্পন্ন জেনেটিক্স এর উপরে নির্ধারিত। অনেকের ক্ষেত্রে এসব ব্যবহারের পরেও ত্বকের আসল রং পরিবর্তন হয় না। তবে ত্বককে বিভিন্ন ক্ষতি ও দূষণ থেকে রক্ষা করার জন্য এসব ব্যবহার করা হয়। যারা উজ্জ্বল স্বাস্থ্যকর ত্বক পেতে চান তাদের নিয়মিত প্রাপ্তি উপাদান ব্যবহার করা উচিত। প্রাকৃতিক উপাদান দ্বারা আমাদের ত্বকের কোনো ক্ষতি হয় না এবং এটি বাজারে পাওয়া রাসায়নিক দ্রব্য থেকে অনেকটা ভালো। প্রিয় পাঠক আপনাদের সুবিধার্থে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার ১০টি উপায় এই পোস্টটি লেখা। উপকারি মনে হয় তাহলে আপনার প্রিয় মানুষদের সাথে এটি শেয়ার করে দেন যেন তারাও জানতে পারে কোন ভিটামিন খেলে চেহারা সুন্দর হয়, রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকের যত্ন, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে পানির গুরুত্ব, ক্রিম ব্যবহার করে ত্বক ফর্সা করার ক্ষতিকারিতা, ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার ১০টি উপায় ইত্যাদি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

টেক সমাজের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url