নিম পাতার রস খাওয়ার উপকারিতা | নিম পাতার ক্ষতিকর দিক
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার ১০টি উপায়
আপনার অনেকেই নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে শুনেছেন, প্রাচীন কাল থেকে এটি
ব্যাবহার হয়ে আসছে এবং এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক
গুরুত্বপূর্ণ। নিমপাতা কে সকল রোগের নিরাময় বলা হয়ে থাকে। আপনার অনেকেই
বাজারে থেকে পাওয়া নিমের ফেসওয়াশ, সাবান, টুথপেস্ট, তেল ইত্যাদি
এছাড়া বিভিন্ন পণ্য ব্যবহার করে থাকেন।এগুলো কি সব আপনার স্বাস্থ্যের জন্য আসলে
উপকারী?
আজকের ব্লগে আপনাদেরকে নিম পাতার সকল উপকারিতা, কিভাবে ব্যবহার করতে হয়, এবং এর সকল গুরুত্ব দিক সম্পর্কে আপনাকে জানাবো।
পোস্ট সূচিপত্রঃ নিম পাতার রস খাওয়ার উপকারিতা | নিম পাতার ক্ষতিকর দিক
খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয়
প্রতিদিন সকালে নিম পাতার রস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক
উপকার। প্রাচীনকাল থেকে নিম পাতার ব্যবহার প্রচলিত হয়ে আসছে এখনো গ্রামে
সকলের এটি কে জাদুকরী পাতা হিসেবে বিবেচনা করে। প্রাকৃতিকভাবে সকল রোগের
চিকিৎসা নিম পাতার মধ্যে রয়েছে, নিম গাছের প্রতিটি অংশ বিভিন্ন রোগের
নিরাময়ে সাহায্য করে থাকে। নিমপাতা একটি ঔষধি গাছ যেটা আমাদের বিভিন্ন
ভাবে শরীরকে সুস্থ রাখতে, ত্বকে উজ্জ্বল করতে এবং বিভিন্ন রোগ থেকে সুস্থ
হতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে নিয়মিত নিম পাতার
রস খেলে আমাদের শরীরকে বিভিন্ন বিভিন্নভাবে উপকার করে থাকে। নিম
পাতায় মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি-ভাইরাল
উপাদান, যা শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দিয়ে থাকে। সকালে খালি
পেটে নিমের পাতা খেলে আমাদের ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
নিমপাতা মুখে দেওয়ার নিয়ম
প্রাকৃতিকভাবে ত্বক এবং চুলের সমস্যা দূর করার জন্য নিম পাতার ব্যবহার সবচেয়ে
বেশি জনপ্রিয়। নিম পাতার মধ্যে অনেকগুলো ঔষধি গুণ হয়েছে যেগুলো আমাদের
ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। আপনারা ত্বকের উজ্জ্বলতা, তাকে পরিষ্কার পেতে
এবং ত্বকের যত্নে নিমের তৈরি বিভিন্ন ফেসওয়াশ ও সাবান ব্যবহার করে
থাকেন। এই এই পূর্ণ হল বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম রাসায়নিক পদার্থ
দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে যার মধ্যে নিমের পরিমাণ বেশি থাকে না। বাজারে
পাওয়া নিমের পণ্য ব্যবহার করা চেয়ে সরাসরি নিম পাতা ব্যবহার করা
অনেকটাই উত্তম।
আরো পড়ুনঃ কাঁচা হলুদ দিয়ে কিভাবে ফর্সা হওয়া যায়
বিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখেছে যে সকল রোগের নিরাময় হিসেবে নিম অনেক
কার্যকরী। নিম দিয়ে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন ক্ষতিকর ব্রণ বা
ফুসকুড়ি দূর করতে সাহায্য করে এছাড়াও নিম পাতা শুষ্ক ত্বক নিরাময় করে
আপনাকে স্বাস্থ্যকর ত্বক দেয় এবং এটি আপনার মুখের
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। আপনার ত্বকের যত্নে আপনি নিম পাতা যোগ করতে পারেন এটি
ব্যবহার করা তথ্য এবং দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায়। আপনি যে সকল উপায়ে নিম পাতা
ব্যবহার করতে পারেন তারা কিছু উদাহরণ নিচে দেওয়া হল।
১। নিম পাতার পেস্ট
নিমপাতা ব্যবহার করার এটি একটি অত্যন্ত সহজ পদ্ধতি। নিমের
পেস্ট নিয়মিত ব্যবহার করার মাধ্যমে এক দুই সপ্তাহ থেকে এক মাসের মধ্যে
আপনার ত্বকের উপকার লক্ষ্য করতে পারবেন। এটি অতি সহজেই বাড়িতে তৈরি করতে
পারবেন, এর জন্য প্রথমে আপনাকে ১০-১৫ টি নিমের পাতা নিয়ে তার সাথে পানি
মিশিয়ে একটি পেজ তৈরি করে নিতে হবে। এরপরে এটি আপনি মুখে লাগিয়ে ১৫
থেকে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
২। নিম পাতার ফেসপ্যাক
নিমপাতার ফেসপ্যাক অনেক জনপ্রিয়। আপনি অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদানের
সাথে নিম পাতা ব্যবহার করতে পারেন যা আপনার ত্বকের জন্য দ্রুত এবং কার্যকর
উপকার নিয়ে আসবে। এটি তৈরি করার জন্য প্রথমে আপনাকে ২ চামচ নিম পাতার
পাউডার একটি বাড়িতে নিয়ে পানি মিশিয়ে একটি পেজ তৈরি করতে
হবে। অতিরিক্ত পানি দিয়ে আমরা যেন যেন সেই পেস্টটিকে তরল না করে ফেলি
এটি আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে এবং এর সাথে আমরা হলুদ মিশাতে পারি ও হলুদ
একটি প্রাকৃতিক উপাদান এটির ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। তৈরি হয়ে গেলে এটি
আমাদের মুখে ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে পরে ধুয়ে ফেলতে হবে।
নিমের পাতার ১০টি স্বাস্থ্য উপকারিতা
নিম পাতা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে
আমাদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। অনেকে নিয়মিত খেয়ে থাকে, এটাই
আমাদের লিভারের জন্য অনেক স্বাস্থ্যকর এবং আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি
করে। আপনার জন্য নিমের দশটি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা নিচে দেওয়া হল।
১। প্রাকৃতিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
এই আধুনিক যুগে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই কমে গেছে। আগে মানুষ এত
ঘন ঘন অসুস্থ হতো না কারণ তারা সম্পূর্ণ ভাবে প্রকৃতির উপরে নির্ভর
ছিল। এর জন্য তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আমাদের থেকে অনেক বেশি
ছিল। তারা নিয়মিত নিম পাতার মত প্রাকৃতিক উপাদান গ্রহণ করত যা তাদের সুস্থ
রাখতে এবং রোগের বিরুদ্ধে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করত। রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য নিম পাতা অনেক জনপ্রিয় নিয়মিত নিম পাতার রস
পূরণ করার ফলে এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে তোলে। নিম
পাতার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং জৈব সক্রিয় যৌগ সমৃদ্ধ। এই
উপাদানগুলো রোগের বিপক্ষে লড়াই আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
২। রক্ত পরিশোধিত করা
এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যার অনেকগুলো বৈশিষ্ট্য রয়েছে এর মধ্যে একটি হলো
এটি আমাদের শরীরের রক্ত পরিশোধন ক্রিয়া বৃদ্ধি করে। নিম পাতায়
থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
শুয়ে থাকা সকল বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয় এবং এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমাদের
লিভার সুস্থ থাকে। নিয়মিত নিম পাতা খাওয়ার ফলে আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি
পায়, শরীরে ওজন কমে, এবং শরীরের ভিতর থেকে পরিশোধিত হয়। এই
প্রক্রিয়ায় আমাদের শরীর আরো বেশি সুস্থ হয়, এবং এ প্রক্রিয়াটি
আমাদের ত্বকেও প্রভাব ফেলে এবং এটিকে উজ্জ্বল করে তোলে।
৩। উজ্জ্বল এবং স্বাস্থ্যকর ত্বক
নিমপাতা কে অনেকেই রূপচর্চার জন্য ব্যবহার করে থাকে। এটি আমাদের ত্বককে
গভীর থেকে পরিষ্কার করার পাশাপাশি আমাদের ত্বককে সুস্থ রাখার কাজ
করে। নিম পাতায় থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও
অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান আমাদের ত্বকের
ব্রণ, একজিমা, জ্বালাপোড়া ইত্যাদি কমাতে অনেকটা সাহায্য
করে। নিয়মিত নিমের ব্যবহারের ফলে এটি আমাদের ত্বকের লালচে ভাব
কমায় এবং ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। প্রাকৃতিকভাবে ত্বক
কেউ জোর করার জন্য নিম পাতা সেরা উপাদান।
৪। দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য রক্ষা
নিমকে দাঁতের যত্নেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে, আপনারা অনেকেই নিমের দাতুনের
সাথে পরিচিত। প্রাচীনকাল থেকে দাতের যত্ন নেওয়ার জন্য নিমের দাতনের ব্যবহার
হয়ে আসছে। আমাদের প্লাস্টিকের ব্রাশগুলো থেকে এটাই অনেক কার্যকরী, এটি
নিয়মিত ব্যবহারের ফলে দাঁতের প্লাক কমে, মাড়ির সংক্রমণ কমে, এবং
নিঃশ্বাসকে সতেজ রাখে। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন যে নেমে
থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য
করে। প্রাকৃতিকভাবে দাঁতের চর্চা করার জন্য নিমের দাতনের বিকল্প নেই।
৫। রক্তের শর্করা মাথাটা নিয়ন্ত্রণে রাখা
নিম পাতার সকল গুণগুলোর মধ্যে একটি হলো রক্ত শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে
রাখা। এটি আমাদের জন্য ও তথ্য জরুরী কেননা শরীরের রক্তের শর্করা মাত্রা
নিহত না থাকলে আমাদের বিভিন্ন অঙ্গের কার্যকরী তাই প্রভাব ফেলে যা আমাদের শরীরের
জন্য ক্ষতিকর। নিয়মিত নিমের পাতা গ্রহণ করলে শরীরে ইনসুলিনের প্রভাব
বাড়ে এবং প্রাকৃতিকভাবে গ্লুকোজ এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিসের
রোগীদের নিয়মিত নিয়মের সংগ্রহ করা প্রয়োজন কেননা এটি
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সেরা।
৬। ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে
নিম পাতার মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং
অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য যা আমাদের ত্বকের জন্য অনেক
গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে ত্বকের সংক্রমণ, ছত্রাকজনিত ফুসকুড়ি
এবং ত্বকের বিভিন্ন ক্ষতিনিয়ে চিন্তিত থাকেন। ত্বকের এই সকল
ক্ষতিগুলো নিম পাতার মাধ্যমে অনেক সহজেই নিরাময় করা সম্ভব। নিয়মিত নিয়মের
পাতা বা তার রস বানিয়ে গ্রহণ করলে এটি আমাদের শরীরকে ভিতর থেকে এবং বাইরে থেকে
দুইভাবে উপকার করে। ত্বকের সকল ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া গুলো দূর করার পাশাপাশি
এটি আমাদের ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল করে তোলে।
৭। চুল এবং মাথার ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী
ত্বকের মতো চুলের জন্য নিমের পাতা অনেক জনপ্রিয়, অনেকেই নিমের তেল ব্যবহার
করে তাকে চুলের যত্নের ক্ষেত্রে এটি চুলকে গোড়া থেকে মজবুত করার পাশাপাশি
বিভিন্ন সমস্যা দূর করে থাকে। নিম মাথায় ত্বককে পুষ্টি যোগায় এবং গোড়া
মজবুত করে তোলে, চুলের খুশকি কমায়, মাথার ত্বকের জ্বালাপোড়া
কমায় এবং চুলের বৃদ্ধি তে সাহায্য করে। আমাদের ত্বকের পাশাপাশি মাথার
ত্বকের খেয়াল রাখাও অত্যন্ত প্রয়োজন যা নিমের ব্যবহার ফলে আমরা সহজেই করতে
পারি।
৮। প্রদাহ এবং জয়েন্টের ব্যথা কমায়
নিম আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এটি আমাদের দেহের প্রদাহ কমাতে অনেক
সাহায্য করে এর পাশাপাশি আমাদের শরীরের জয়েন্টের ব্যাথা গুলো কমায় এবং শরীরের
রক্ত হয়ে যাওয়াকে কমাতে সাহায্য করে। নিমের তেল ত্বকে ব্যবহার করলে ফোলা
ভাব দূর হয় এবং ভেতর থেকে ত্বকের প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৯। হজমের স্বাস্থ্যে সাহায্য করে
নিমের পাশে আরও একটি বড় উপকারিতা হলো হজম শক্তি বাড়ায়। নিয়মিত
নিয়মের পাতা বা রস খাওয়ার ফলে আমাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে, শরীরের
এসিডিটি কমে এবং গ্যাসের সমস্যা দূর হয়। ক নিম আমাদের শরীরকে ভিতর এবং
বাইরে উভয় দিক থেকেই সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
১০। ক্যান্সার প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য প্রদান করতে পারে
নিয়মিত নিমের পাতা বা রস গ্রহণ করার ফলে এটাই আমাদের শরীরের রোগ প্রতির
ক্ষমতা বাড়ায় এবং বিভিন্ন রোগ নির্ণয় সাহায্য করে। নতুন গবেষণায় দেখা
হয়েছে যে নিমের পাতা ক্যান্সারের উপর বৃদ্ধিকে কমাতে সাহায্য করে। এই
বিষয়টি নিমের পাতা ব্যবহারকে আরো শক্তিশালী করে তোলে।
ওজন কমাতে নিম পাতার ব্যবহার
ওজন কমানোর প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে নিম পাতা অনেক জনপ্রিয়। সকলে খালি পেটে
নিম পাতা খেলে এটি অনেক উপকারী বিবেচনা করা হয়। নিম পাতার মধ্যে
রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এর মত বিশেষ
উপাদান যা পাকস্থলীর মধ্যে থাকার ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া গুলো দূর করে এবং হজম
শক্তি বৃদ্ধি করে। এবং সকালে খালি পেটে নিপের পাতা খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি
হয় যার ফলে এটি ওজন কমানোর জন্য কার্যকরী।
নিম পাতা কি চোখের জন্য ভালো
নিম পাতার অনেক গোলক করতপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে একটি রয়েছে চোখের দৃষ্টিশক্তি
উন্নত করা। বিকেন্দ্র গবেষণা করে জানতে পেরেছে যে চোখের এবং কানের যে সকল
ব্যাকটেরিয়ার কারণে সংক্রমণ হয়ে থাকে নিমের পাতা ব্যবহারের মাধ্যমে সে সকল
ব্যাকটেরিয়া বৃষ্টি হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। সুতরাং বলা যায় দৃষ্টি শক্তি
উন্নত করতে সাহায্য করে এবং এটি চোখের বেশি দুর্বলতা এবং লাল হয়ে
যাওয়াকেও কমায়।
আরো পড়ুনঃ কত বছর পর্যন্ত লম্বা হওয়া যায়
আমরা হয়তো অনেকে জানি যে চোখে ছানি পড়া অন্যতম কারণ হলো শরীরে
অতিরিক্ত মুক্ত র্যাডিকেলের এর উপস্থিতি। নিম পাতার
মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে যা চোখের ছানি চিকিৎসায় অনেক
কার্যকরী। এজন্য নিমপাতা চোখের ছানি দূর করতে অনেক সাহায্য
করে। নিমপাতা একটি প্রাকৃতিক ঔষধি যা আমাদের বিভিন্ন রোগে প্রাকৃতিকভাবে
চিকিৎসা করতে অনেক সাহায্য করে।
নিম পাতার ক্ষতিকর দিক
নিম পাতার অবশ্যই অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে যেগুলো আমাদের বিভিন্নভাবে
উপকার করে থাকে। তবে কোন বিচারই অতিরিক্ত ব্যবহার ভালো না এজন্য নিম পাতার
অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে আপনার বিভিন্ন ক্ষতি হতে পারে। এই সমস্যা গুলি আপনার
কিডনি ও লিভার পর্যন্ত যেতে পারে এজন্য জেনে নিন অতিরিক্ত নিমের পাতা গ্রহণ করলে
কোন সমস্যা গুলো হতে পারে।
- হজম সমস্যা সৃষ্টি করা
- রক্তচাপ কমে যেতে পারে
- গর্ভবতীর জন্য ক্ষতিকর
- লিভারের ক্ষতি করতে পারে
- কিডনির জন্য ক্ষতিক হতে পারে
- শিশুদের জন্য ক্ষতি হতে পারে
- হরমনের ভারসাম্য নষ্ট করে ফেলতে পারে
নিম পাচার অতিরিক্ত ব্যবহার বা গ্রহণ এর ফলে সকল সমস্যাগুলো হতে পারে। তবে
পরিমাণ অনুযায়ী নিম পাতা গ্রহণ করলে কোন সমস্যা হওয়ার কথা না। তবে এসব
ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উত্তম।
লেখকের শেষ কথা
নিম পাতা আমাদের শরীরের বিভিন্নভাবে উপকার করে থেকে এটি আমাদের জন্য অনেক
গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এর
সাথে বিভিন্ন রোগ থেকেও আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে। এর পাশাপাশি
আমাদের তবে উজ্জ্বলতার ভিত্তিতে সাহায্য করে। এটি একটি প্রাকৃতিক ওষুধ
গ্রহণ করা প্রয়োজন। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন আমরা এটি সঠিক পরিমাণে
গ্রহণ করি কেননা কোন কিছুই অধিক পরিমাণ সঠিক নয় এবং অতিরিক্ত নিম
পাতা গ্রহণ করলে আমাদের শরীরে ক্ষতি হতে পারে। পাঠক আপনারা যদি নিম
পাতার রস খাওয়ার উপকারিতা | নিম পাতার ক্ষতিকর দিক পোস্টটি সহায়ক মনে হয় তবে
আপনার প্রিয়জনের সাথে এটি শেয়ার করুন যেন তারাও জানতে পারে খালি পেটে নিম পাতার
রস খেলে কি হয়, নিমপাতা মুখে দেওয়ার নিয়ম, নিমের পাতার ১০টি স্বাস্থ্য
উপকারিতা, ওজন কমাতে নিম পাতার ব্যবহার, নিম পাতা কি চোখের জন্য ভালো, নিম পাতার
ক্ষতিকর দিক ইত্যাদি।



টেক সমাজের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url