৩ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায় | পেটের মেদ কমানোর ব্যায়াম
একজন সুস্থ মানুষের কত লিটার পানি প্রয়োজন
পেটের মেদ বা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে আপনার খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে।
প্রোটিন যুক্ত খাবারের মধ্যে থাকা কার্বোহাইড্রেট আপনার পেটকে ভরা অনুভব
করায়। যেটি আপনার ক্ষুধা কমায় এবং অতিরিক্ত খাবার খাওয়া
থেকে দূরে থাকতে অনেক সাহায্য করে। পেটের মেদ এবং ওজন কমানোর
ক্ষেত্রে এটি সেরা পদ্ধতি।
আপনার প্রিয় জামাটা কি পেটের মেদ বাড়ার কারণে আর পড়তে পারছেন না? অনিয়মিত খাবার এবং ব্যায়ামের অভাবে অনেকের পেটের মেদ বেড়ে যায়। এইটি কমানোর জন্য অনেকে বিভিন্ন চেষ্টা করেন, ডায়েট মেনে খাওয়া দাওয়া করেন কিন্তু এতে আপনার পেটের মেদ কমে না বরং আপনার শরীরের ওজন কমে যায়। পেটের মেদ কমানোর জন্য প্রয়োজন ধৈর্য এবং কিছু সঠিক কৌশল অবলম্বন করা।
আপনি চাইলে ৩ দিনের মধ্যেই আপনার ওজন কমাতে পারবেন। তবে নির্দিষ্ট সময়ের
মধ্যে বেশি ওজন বা পেটের মেদ কমবে না তবে এটি আপনাকে হালকা এবং ফ্রেশ অনুভব
করতে অনেকটা সাহায্য করবে।
পোস্ট সূচীপত্রঃ ৩ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায় | পেটের মেদ কমানোর ব্যায়াম
- পেটের মেদ কি
- পেটের মেদ কিভাবে তৈরি হয়
- পেটের মেদ কমানোর খাবার তালিকা
- পেটের মেদ দূর করার ৩ টি পানীয়
- পেটের অতিরিক্ত মেদ কমানোর ব্যায়াম
- পেটের মেদ কমাতে ঘুমের গুরুত্ব
- ৩ দিনে কি পেটের মেদ কমানো সম্ভব
- লেখকের শেষ কথা
পেটের মেদ কি
পেটের মেদকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায় ত্বকের নিচের মেদ এবং ভিসারাল
ফ্যাট। ত্বকের নিচের মেদ ত্বকের ঠিক নিচে থাকে এবং এটি তেমন ক্ষতিকর
নয়। নিয়মিত ব্যায়াম এবং কিছু নিয়ম অনুসরণ করলে আমরা অতি সহজেই এই মেদটি
কমাতে পারি। অন্যদিকে ভিসারাল মেদ আমাদের শরীরের অভ্যন্তরীণ
অঙ্গগুলিকে ঘিরে থাকে এবং এটি শরীরে বেশি জমে গেলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা
হতে পারে। ত্বকের নিজের মেদ কমানোর তুলনাই ভিসারাল ফ্যাট কমানো
বেশি কঠিন হয়ে পড়ে তবে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করার মাধ্যমে দুটি কমানো সম্ভব।
পেটের মেদ কিভাবে তৈরি হয়
আমাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের শরীরের কাজ করার গতি কমতে থাকে। এই সময়
শরীরকে ঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করার জন্য আগের মতো বেশি ক্যালোরির
প্রয়োজন হয় না। তবে আমরা আগের মতো খাবার খেয়ে থাকি যার ফলে আমাদের
শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি জমতে থাকে যার কারনে ওজন বা মেদ বাড়তে শুরু করে।
আমাদের শরীরে মেদ বা চর্বি বাড়ার পেছনে হরমোনের পরিবর্তনের একটি বড় ভূমিকা
রাখে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরের কোষগুলো কমতে শুরু করে এবং সেই
জায়গায় চর্বি জমতে শুরু করে। এর কারনে আমাদের শরীরের গঠন বদলে যায় এবং
স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা অনেক কঠিন হয়ে যাই।
আরো পড়ুনঃ কত বছর পর্যন্ত লম্বা হওয়া যায়
এছাড়াও বিভিন্ন কারণের জন্য আমাদের পেটের মেদ বাড়তে পারে, যেমন অনিয়মিত
ঘুমানো, অতিরিক্ত স্ট্রেস নেওয়া, সঠিক খাবার না খাওয়া অথবা
শরীরচর্চার অভাব ইত্যাদি। আপনার দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় অভ্যাসের পরিবর্তন
আনলে, বিশেষ করে খাদ্য এবং ব্যায়ামের নিয়ম ঠিক রাখার মাধ্যমে আপনি অতি
সহজেই পেটের মেদ কমাতে পারবেন।
পেটের মেদ কমানোর খাবার তালিকা
পেটের মেদ কমানোর জন্য একটি সঠিক ডায়েট অনেক সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা
গেছে যে কম ক্যালোরি যুক্ত খাবার খেলে পেটের মেদ ২০% পর্যন্ত
কমাতে সাহায্য করে পারে। আপনি যদি পেটের মেদ কমাতে চান তাহলে আপনাকে
অধিক পরিমাণে ক্যালারি পোড়াতে হবে এবং সঠিক ধরনের খাবার খেতে
হবে। বিশেষভাবে সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে যেটি গ্রহণের মাধ্যমে অতি সহজেই
পেটের মেদ কমাতে পারবেন।
- ফল ও সবজিঃ প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচ ভাগ ফল এবং সবজি গ্রহণ করা।
- উচ্চ ফাইবারযুক্ত শস্যঃ ওটস, বাদামী চাল এবং শস্যের রুটির মতো ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া।
- দুগ্ধজাত বা সয়াবিন পানীয়ঃ কম চর্বিযুক্ত দুধ বা ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ সয়াবিন দুধ পান করুন।
- প্রোটিনযুক্ত খাবারঃ ডাল, মটরশুটি, মাছ এবং ডিম এর মত প্রোটিনযুক্ত খাবার নিয়মিত খান।
- পানিঃ প্রতিদিন অন্তত ৬–৮ গ্লাস পানি পান করুন।
এই নিয়মগুলো অনুসরণ করে চললে আপনি পেটের মেদ অতি সহজেই কমাতে
পারবেন। তবে চিনি যুক্ত খাবারগুলো অধিক পরিমাণে খাওয়া থেকে বিরত
থাকুন। অতিরিক্ত চিনি আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকর এবং এটি আপনার পেটের মেদ
বাড়াতেও সাহায্য করে। এজন্য এটি এগিয়ে চলার মাধ্যমে আপনি হয়তো সহজেই আপনাকে
পেটের মেদ কমাতে পারবেন।
প্রোটিনের প্রধান উৎস
- ডিমঃ ডিমের সাদা অংশে উচ্চমাত্রার প্রোটিন থাকে।
- মাছঃ রুই, কাতলার মতো মাছ প্রোটিনের ভালো উৎস।
- মুরগির মাংসঃ চিকেন ব্রেস্ট বা লেবার অংশে চর্বি কম এবং প্রোটিন বেশি থাকে।
- দুধ ও দইঃ দুধ, দই বা চিজ প্রোটিনের ভালো উৎস।
- ডাল ও মটরশুঁটিঃ মসুর, ছোলা, রাজমা ইত্যাদি শাকসবজির সাথে সহজেই খাওয়া যায় এবং প্রোটিন দেয়।
- বাদাম ও চিয়া সিডঃ হালকা নাশতার জন্য বাদাম বা চিয়া সিড ব্যবহার করা সেরা।
এই উপাদান গুলো প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া প্রোটিনের প্রধান উৎস যা আমাদের জন্য
অনেক উপকারী। নিয়মিত খেলে আমাদের পেটের মেদ ও ওজন কমানোর পাশা পাশি আমাদের
সুস্বাস্থ্য অর্জন করতে সাহায্য করে।
পেটের মেদ দূর করার ৩ টি পানীয়
পেটের মেদ কমানোর জন্য প্রাকৃতিকভাবে কিছু পানীয় তৈরি করা যায় যা গ্রহণ করার
মাধ্যমে আপনি অতি সহজে আপনার পেটের মেদ বা ওজন কমাতে পারবেন। আপনার
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই পানিওগুলো যোগ করতে পারেন, এটি অতি সহজেই বাড়িতে
বানানো যায় যা পেটের মেদ কমানোর পাশাপাশি আপনার বিপাক প্রক্রিয়ার জন্য
অনেক উপকারী এবং পেটের চর্বি পোড়াতে সাহায্য করবে।স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং
নিয়মিত ব্যায়ামের সাথে আপনি এই পানীয় গুলো গ্রহণ করতে পারেন যা আপনাকে
দ্রুত পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে।
মধু মিশ্রিত লেবুর পানি
পেটের মেদ এবং ওজন কমানোর জন্য লেবু পানি অনেক জনপ্রিয়। নিয়মিত লেবু পানি
পান করলে আমাদের দেহের অতিরিক্ত চর্বি দূর করতে সাহায্য করে, এছাড়াও লেবু
শরীর পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে যা বিপাক বৃদ্ধি করে এবং চর্বি কমায়।
লেবু পানি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী তবে আপনার জন্য খুব টক মনে হলে এর সাথে
হালকা মধু যোগ করতে পারেন যা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে। দ্রুত ফলাফল
পাওয়ার জন্য এক কাপ উষ্ণ পানিতে আধা চা চামচ মধু এবং এক চা-চামচ লেবুর রস
মিশিয়ে সকালে এবং ঘুমানোর আগে নিয়মিত পান করুন পান করুন।
জিরা পানি
আমরা সাধারণত রান্নার স্বাদ বাড়ানোর জন্য জিরার ব্যবহার করে থাকি, তবে
এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাইমোকুইনোন রয়েছে যা পেটের
মেদ বা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে অনেক কার্যকরী। এছাড়াও, জিরা পানি খেলে হজম
ভালো থাকে এবং শরীরের বিপাকক্রিয়াও উন্নত হয়। জিরা পানি তৈরি করা অত্যন্ত
সহজ এর জন্য প্রথমে এক গ্লাস গরম পানিতে কিছু জিরা বিষ যোগ
করুন, এবং কিছু মিনিট অপেক্ষা করে তার পরে খেতে পারেন। নিয়মিত
খালি পেটে জিরা পানি খেলে পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে।
গ্রিন টি
পেটের মেদ কমানোর জন্য গ্রিন টি অনেক জনপ্রিয়, এর মধ্যে থাকা উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানের থাকে। যার কারণে গ্রিন টি আমাদের
শরীরের জন্য অনেক উপকারী। গ্রিন টি হল খাবারের পরে খাওয়া একটি চমৎকার পানীয় যা ক্যালোরি পোড়াতে
সাহায্য করে কারণ। এর মধ্যে বিভিন্ন পুষ্টি এবং উপকারী উপাদান রয়েছে
তার মধ্যে অন্যতম উপাদান হোল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের যা পেটের মেদ কমাতে অনেক
সাহায্য করে। তবুও সুবিধাটি কেবলমাত্র উচ্চ ক্যাটেচিন উপাদানযুক্ত গ্রিন টি প্রস্তুতির
সাথে যুক্ত - একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা বিপাককে ত্বরান্বিত করতে পারে এবং
চর্বি পোড়াতে উৎসাহিত করতে পারে। আপনি যদি কোনও উচ্চমানের গ্রিন টি খুঁজে না
পান তবে আপনি ম্যাচাও চেষ্টা করতে পারেন, যা ক্যাটেচিনের ঘনত্ব বৃদ্ধির কারণে
ওজন কমানোর জন্য একটি উন্নত বিকল্প।
পেটের অতিরিক্ত মেদ কমানোর ব্যায়াম
পেটের মেদ বা চর্বি কমানোর ক্ষেত্রে ব্যায়াম একটি অন্যতম মাধ্যম। নিয়মিত
ব্যায়াম করার মাধ্যমে আপনি অতি সহজেই অতিরিক্ত ক্যালরি কমাতে
পারবেন। নিয়মিত কমপক্ষে ৩০ মিনিটের যেকোনো ধরনের ব্যায়াম যেমন
হাটা, দৌড়ানো বা হালকা ওয়ার্কআউট আপনার জন্য অনেক ভালো। আপনি
বাড়িতে, কর্মক্ষেত্রে, বা আপনার বন্ধুদের সাথে যেখানেই থাকুন আপনার
শরীরকে বেশি নাড়াচড়া করার সুযোগ করে দিন এর মাধ্যমে আপনি অতি সহজে
ক্যালরি কমাতে পারবেন।
পেটের মেদ কমানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরী ব্যায়াম গুলোর
মধ্যে প্রতিরোধমূলক ব্যায়াম অনেক গুরুত্বপূর্ণ এর মধ্যে
রয়েছে ওজন তোলা, স্কোয়াট, পুশ-আপ ইত্যাদি। এবং আরেকটি হলো
কার্ডিও ব্যায়াম যেমন দৌড়ানো, সাইক্লিং, জগিং ইত্যাদি।
এই ব্যায়ামগুলো করার মাধ্যমে আপনার শরীরের পেশী শক্ত হয়, গ্লুকোজ বিপাক
ঠিক রাখে এবং আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পেটের অতিরিক্ত মেদ
কমানোর জন্য এই ব্যায়ামগুলো অনেক জনপ্রিয়।
পেটের মেদ কমাতে ঘুমের গুরুত্ব
পর্যাপ্ত পরিমাণ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী, এটি আমাদের পেটের মেদ
কমাতেও অনেক সাহায্য করে।প্রতি রাতে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুম আমাদের শরীরের জন্য মতো প্রয়োজন। আপনি যদি
প্রতিদিন নিয়মিতভাবে না ঘুমান তবে আপনার শরীরে হর মনের ভারসাম্য নষ্ট
হয় এবং ক্ষুধা বাড়িয়ে দেয় যার ফলে আপনার পেটের মেদ আরো বেড়ে
যায়। অপরদিকে অতিরিক্ত ঘুমও আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর
কেননা অলসতা বেড়ে যায় এবং ওজন আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
ঘুমের অভাবে শরীরে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন আসে এর মধ্যে একটি হলো ক্ষুধা বেড়ে
যাওয়া। বিজ্ঞানীদের মতে কম ঘুমালে শরীরে ক্ষুধা বাড়ানোর হরমোন বেশি
পরিমাণে তৈরি হয়। আরেকটি ধারণা অনুযায়ী জানা যায় যে জাঙ্ক ফুড বা
চর্বিযুক্ত খাবারের প্রতি আকর্ষণে অনেক বেড়ে যায়। যার
ফলে খাবারের প্রতি আমাদের নিয়ন্ত্রণ থাকেনা এবং এটি আমাদের পেটের মেদ
বাড়িয়ে তোলে।
আরো পড়ুনঃ চিয়া সিডের উপকারিতা এবং অপকারিতা
মূল কথা আপনি যখন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাবেন তখন আপনার শরীর স্বাভাবিকভাবে কাজ করবে
এর ফলে আপনার ক্ষুধা কম লাগবে যার ফলে আপনার ওজন ও পেটের মেদ দুটিই
নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
৩ দিনে কি পেটের মেদ কমানো সম্ভব
আপনি রাতারাতি পেটের মেদ কিংবা ওজন কমাতে পারবেন না, আপনার লক্ষ্য হওয়া
প্রয়োজন ধীর গতিতে স্থায়ীভাবে পেটের মেদ কমানো। এছাড়া পেটের মেদ
বা ওজন কমানোর গতি বিভিন্ন বিষয়ের উপরে নির্ভর করে। তবে আপনি চেষ্টা করলে
অল্প দিনেও সথিক নিয়ম অনুসরণ করার মাধ্যমে পেটের মেদ কমাতে পারবেন।
আপনি যখন খাবার এবং পানীয় থেকে ক্যালোরি গ্রহণ করা কমিয়ে দিবেন এবং আপনার
দৈনিক ক্যালোরি পোড়ানোর পরিমাণ বাড়াবেন, তখন প্রথমে আপনার পেটের মেদ বা ওজন
কিছু টা কমতে শুরু করবে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে, আপনার শরীর আপনার বিপাককে
ধীর করে দিবে এবং ওজন হ্রাস ধীর হবে। ওজন কমাতে, আপনাকে ক্যালোরি কমাতে হবে এবং
আপনার নিয়মিত ব্যায়াম বাড়াতে হবে।
পেটের মেদ কমানোর ক্ষেত্রে বয়সও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বয়স বাড়ার সাথে সাথে
মেটাবলিজম কমতে শুরু হয়ে যায়, যার ফলে ওজন কমানো অনেক কঠিন হয়ে পড়ে।
মহিলাদের ক্ষেত্রে, ওজন কমানোর প্রক্রিয়া পুরুষদের তুলনায় একটু কম হয়ে থাকে।
এর একটি অন্যতম কারন হলো পুরুষদের পেশী বেশি পাতলা থাকে, যা ক্যালোরি
পোরাতে সাহায্য করে।অন্যদিকে মহিলাদের শরীরে হরমোনের ওঠানামা ত্বকের মেদ বা ওজন
কমানোর প্রক্রিয়াকে বাধা দেয়।
লেখকের শেষ কথা
আপনার দৈনন্দিন জীবনযাপনে কিছু অল্প পরিবর্তনই পেটের মেদ কমানোর ক্ষেত্রে
অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারে। অধিক প্রোটিন যুক্ত খাবার খান এবং চর্বিযুক্ত
ও মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া কমিয়ে দেন। এছাড়া আপনার ব্যায়ামের
পরিমাণ বাড়ানো এবং বেশি পরিমাণে ফল শাকসবজি খান। এ সকল কৌশল অবলম্বন করার
মাধ্যমে আপনি অতি সহজে আপনার পেটের মেদ কমাতে পারবেন। প্রিয় পাঠক আপনাদের
সুবিধার্থে এই পোস্টটি লিখা আপনাদের যদি এ পোস্টটি সহায়ক মনে হয় তাহলে আপনার
প্রিয়জনদের সাথে একটি শেয়ার করুন যেন তারাও জানতে পারে পেটের মেদ কি, পেটের মেদ
কিভাবে তৈরি হয়, পেটের মেদ কমানোর খাবার তালিকা, পেটের মেদ দূর করার ৩ টি
পানীয়, পেটের অতিরিক্ত মেদ কমানোর ব্যায়াম, পেটের মেদ কমাতে ঘুমের গুরুত্ব, ৩
দিনে কি পেটের মেদ কমানো সম্ভব ইত্যাদি।



টেক সমাজের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url