চা নাকি কফি কোনটা ভালো | স্বাস্থ্যের জন্য কোনটি বেশি উপকারী
আপনারা সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেকেই চা অথবা কফি খেয়ে থাকেন, তবে অনেকের মনে
একটি প্রশ্ন থেকেই যায় যে চা নাকি কফি কোনটা ভালো। কেউ চা ছাড়া একদিনও থাকতে
পারেন না, আবার কারো কাছে কফি ছাড়া সকালটাই শুরু হয় না।
আজকে আর্টিকেলে আপনাদেরকে জানাবো চা নাকি কফি কোনটা ভালো এবং বেশি
উপকারী। যার মাধ্যমে আপনারা অতি সহজে জানতে পারবেন কোনটি আপনার জন্য
সেরা।
পোস্ট সূচীপত্রঃ চা নাকি কফি কোনটা ভালো | স্বাস্থ্যের জন্য কোনটি বেশি উপকারী
চা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা
আমরা সাধারণত চা সতেজ অনুভব করার জন্য এবং বেশিরভাগ সময় নাস্তা খাওয়ার
জন্য খেয়ে থাকি। তবে চা এর মধ্যে বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে যেগুলো
সম্পর্কে অনেকেই জানেনা। চা এর সকল উপকারী গুণগুলো আমাদের শরীরে ওষুধের মত কাজ
করে এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে।নিয়মিত চা খাওয়ার বিশেষ
কিছু উপকারিতা গুলোর মধ্যে রয়েছেঃ
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ
নিয়মিত চা খাওয়ার মাধ্যমে আপনার হার্টের সমস্যা বা হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই
কমে যেতে পারে। চা এর মধ্যে বিভিন্ন পুষ্টিকারি উপাদান থাকে যেগুলো আমাদের
রক্তনালী কে সুস্থ রাখে যার ফলে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে। যারা নিয়মিত দুই
থেকে তিন কাপ করে চা খেয়ে থাকেন তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি প্রায় ২০% এর মতো কমে
যেতে পারে।
চা খাবার মাধ্যমে আমাদের রক্তের কলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে চা
বিশেষ করে আমাদের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অনেক সাহায্য করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করেঃ
চা এর মধ্যে থাকা বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান আমাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও
অনেকটাই সাহায্য করতে পারে। বিশেষ করে গ্রিন টি ক্যান্সারের কোষগুলোর বৃদ্ধির
কমাতে সক্ষম। তবে নিয়মিত সাধারণ চা খাওয়ার মাধ্যমেও আপনারা ফুসফুসের
ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার, পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারবেন।
তবে আমাদেরকে এটা মনে রাখতে হবে যে চা ক্যান্সারের কোন চিকিৎসা নয়। এটি
শুধুমাত্র ক্যান্সারের প্রভাব সামান্য পরিমাণে কমাতে পারে। ক্যান্সার প্রতিরোধ
করার জন্য আপনাকে একটি স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন পালন করতে হবে এবং ডাক্তারের
পরামর্শ নিয়ে চলতে হবে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
আপনি যদি প্রাকৃতিক ভাবে নিজের ওজন কমাতে চান তাহলে চা আপনার জন্য একটি
দারুণ মাধ্যম হতে পারে। বিশেষভাবে গ্রিন টি বা ব্ল্যাক টি খাওয়ার মাধ্যমে
আপনি অতি সহজেই অতিরিক্ত ওজন কমাতে পারবেন। চা এর মধ্যে থাকা ক্যাফেইন
অতিরিক্ত ওজন কমানোর ক্ষেত্রে অনেক বড় ভূমিকা রাখে।
তবে ওজন কমানোর জন্য আপনি যদি চা এর উপরে সম্পূর্ণভাবে নির্ভর হয়ে পড়েন
তাহলে আপনার ওজন কমবে না। ওজন কমানোর জন্য আপনাকে নিয়মিত ব্যায়ামের
পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। ওজন কমানোর জন্য চা আপনাকে কিছুটা
সাহায্য করতে পারে তবে ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য নিয়মিত ব্যায়ামের
প্রয়োজন।
মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে
আপনারা অনেক সময় খেয়াল করবেন চা খেলে আপনার মস্তিষ্কে কার্যক্ষমতা অনেকটাই
বৃদ্ধি পায়। এটি আসলেই চা খাওয়ার মাধ্যমে হয়ে থাকে, চা এর মধ্যে ক্যাফেইন
থাকে যা আমাদেরকে সতেজ অনুভব করতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত মানসিক চাপ কমাতে
সাহায্য করে। এভাবে চা খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের কাজের গতিও অনেকটা বেড়ে
যায়।
নিয়মিত চা খাওয়ার মাধ্যমে আপনারা অতিরিক্ত মানসিক চাপ কমাতে পারবেন এবং
কোন কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়াতে পারবেন। নিয়মিত চা খাওয়ার মাধ্যমে আপনারা
আলঝেইমার এবং পার্কিনসন্স রোগের ঝুঁকিও কমাতে পারবেন।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা অনেক সময় লো সুগার লেভেল এর সমস্যাই থাকেন,
আপনি যদি নিয়মিত চা খান তাহলে এটি আপনার সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য
করে। বিশেষ করে আপনি যদি গ্রিন টি বা ব্ল্যাক টি খান তাহলে এটা আপনার শরীরে
ইনসুলিন এর প্রভাব বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে। যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা
রয়েছে তাদের নিয়মিত চা খাওয়া অনেক উপকারী হতে পারে।
তবে যাদের ডায়াবেটিস হয়েছে তাদের চিনি ছাড়া চা খাওয়াই সেরা যদি আপনারা
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে চান। অতিরিক্ত চিনি দিয়ে চা খেলে আপনার
ডায়াবেটিস লেভেল অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
চা এর মধ্যে বিভিন্ন পুষ্টিকার উপাদান থাকে যেগুলো আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বাড়াতে সাহায্য করে। এখন আর সময় আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই কমে গেছে
কোন কারণ ছাড়াই আমরা ঘন ঘন অসুস্থ হতে থাকি। এজন্য সকল সুষম খাদ্যের পাশাপাশি
আমাদের নিয়মিত চা খাওয়া প্রয়োজন যার মাধ্যমে আমরা অতি সহজেই রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বাড়াতে পারবো। নিয়মিত চা খেলে জ্বর, সর্দি, কাশির মত ছোটখাটো থেকে
অনেক সহজেই রক্ষা পেতে পারব। আপনার যদি সর্দি কাশি হয় সেক্ষেত্রে আদা চা এবং
লেবু চা আপনার জন্য অনেক উপকারী হতে পারে।
কফি খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা
আপনারা অনেকেই কফি খেতে পছন্দ করেন, এমনকি চা এর থেকেও কফি অনেকের পছন্দ। চা
এর মত কফি ও বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা দিয়ে থাকে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে কফির
চা এর থেকেও বেশি উপকারিতা দিয়ে থাকে। তাহলে চলুন জেনে নেই কফি খেলে কি কি
উপকারিতা পাওয়া যায়।
আপনাকে সজাগ রাখতে সাহায্য করে
কফি খাওয়ার বড় সুবিধা হলো এটা খুব দ্রুত আপনাকে সজাগ করে তোলে। কফিতে থাকা
ক্যাফেইন মাথায় দ্রুত কাজ করে যার ফলে আমাদের ঘুম ঘুম ভাব এবং ক্লান্তি দূর করতে
সাহায্য করে। ঘুম থেকে ওঠার পরে এক কাপ কফি খেলে আপনি দ্রুত সতেজ অনুভব করতে
পারবেন।
কফি আপনার শরীরের কার্যক্ষমতা অনেকটা বাড়িয়ে দেয় যার ফলে আপনি আপনার কাজে বেশি
মনোযোগ দিতে পারেন। পড়াশোনা করার ক্ষেত্রে বা কোন কাজ করার আগে আপনি যদি এক
কাপ কফি খান তাহলে এটি আপনার অনেক সাহায্য করতে পারে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
নিয়মিত কফি খাওয়ার মাধ্যমেও আপনারা অতি সহজেই নিজের ওজন কমাতে পারবেন। কফি
আমাদের শরীরে মেটাবলিজম বা বিপাক প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করে যেটি আমাদের শরীরের
অতিরিক্ত ফ্যাট কমাতে সহায়ক। এছাড়াও কফি খেলে আমাদের অলসতা দূর হয় এবং কাজের
প্রতি বেশি মনোযোগ এবং শক্তি দেয়।
অনেকেই ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের মেডিসিন খেয়ে থাকেন তবে এগুলো আপনাদের ওজন
কমানো চে ওজন আরো বেশি বৃদ্ধি করে দেয়। এজন্য আপনারা কফি খাওয়ার
মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবে ওজন কমাতে পারবেন।
লিভারকে রক্ষা করতে সাহায্য করে
কফি আমাদের লিভারের জন্য অনেক উপকারী, নিয়মিত কফি খাওয়ার মাধ্যমে লিভার
সিরোসিস, ফ্যাটি লিভার এবং লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। যারা
নিয়মিত কফি খায় তাদের লিভার সিরোসিসের ঝুঁকি ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব।
কফির মধ্যে থাকা বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান আমাদের শরীরে এনজাইম এর পরিমাণ
স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে যার মাধ্যমে আমাদের লিভার সুস্থ থাকে। নিয়মিত কফি
খাওয়ার মাধ্যমে আপনার অতি সহজেই আপনার লিভারকে যেকোনো ধরনের ক্যান্সার থেকে
রক্ষা করতে পারবেন।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়
নিয়মিত কফি খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যেতে
পারে। কফির মধ্যে অতিরিক্ত ক্যাফেন থাকে যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সক্ষম। যারা
নিয়মিত কফি খায় তাদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ২৫-৩৫% পর্যন্ত কমানো সম্ভব।
কফিতে থাকা ক্লোরোজেনিক এসিড এবং অন্যান্য যৌগ ইনসুলিন সেন্সিটিভিটি বৃদ্ধি করে
এবং রক্তের গ্লুকোজ লেভেল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে কফি
খাওয়া আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, এজন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ কফি খেতে হবে।
চা নাকি কফি কোনটা ভালো
আর কফির মধ্যে কোনটা ভালো এটা এক কথায় বলা যায় না। কারণ দুইটাই আমাদের জন্য
স্বাস্থ্যকর, আর দুটোতেই আলাদা আলাদা উপকারিতা আছে। এই জন্য চা নাকি কফি কোনটা
ভালো, সেটা সম্পূর্ণভাবে আপনাদের পছন্দ এবং প্রয়োজন এর উপরে নির্ভর করে।
চা হৃদরোগ প্রতিরোধ, ওজন কমানো এবং মানসিক চাপ কমানোর জন্য সেরা। এতে কম ক্যাফেইন
থাকায় তেমন কোন ক্ষতি নেই। বিশেষ করে গ্রিন টি এবং ব্ল্যাক টি আমাদের
স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
কফি আমাদের সতেজ অনুভব করাতে সাহায্য করে, মানসিক কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি এবং শরীরকে
শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। কফি ডায়াবেটিস এবং লিভার জাতীয় সকল রোগ প্রতিরোধেও
সাহায্য করে।
আপনার জন্য কোনটা ভালো তা নির্ভর করে আপনার স্বাস্থ্য অবস্থা, জীবনযাত্রা এবং
ব্যক্তিগত পছন্দের ওপর। আপনি দুটোই খেতে পারেন তবে পরিমিত পরিমাণে এবং সঠিক
নিয়মে।
চা এবং কফির অপকারিতা
চা এবং কফি আমাদের জন্য অনেক উপকারী হলেও অতিরিক্ত পরিমাণে এগুলো খেলে আমাদের
বিভিন্ন ক্ষতি হতে পারে। অতিরিক্ত চা কফি খাওয়ার ক্ষতি গুলো আপনারা জানা উচিত
যার মাধ্যমে আপনারা অতি সহজেই এগুলো এড়াতে পারবেন।
চা খাওয়ার অপকারিতা
অতিরিক্ত চা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে আয়নের ঘাটতি হতে পারে। চা এর মধ্যে থাকা
কিছু উপাদান আমাদের শরীর থেকে আয়ন শোষণ করে। বিশেষ করে যাদের শরীরে রক্তের
স্বল্পতা আছে তাদের সরাসরি চা খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। তাদের জন্য কোন
খাবারের সাথে চা খাওয়া উত্তম।
আপনি যদি সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে চা খান তাহলে আপনার পেটে গ্যাসের সমস্যা
হতে পারে। সকালে নাস্তার সাথে চা খাওয়ার চেষ্টা করুন যার মাধ্যমে আপনি অতি সহজেই
সমস্যা গুলো থেকে দূরে থাকতে পারবেন। এছাড়া অতিরিক্ত চা খাওয়ার ফলে আমাদের
ঘুমের সমস্যা হতে পারে, এজন্য আমাদের সঠিক পরিমাণে চা খাওয়া উত্তম।
অতিরিক্ত চা খেলে আমাদের দাঁতে দাগ পড়তে পারে, চায়ে থাকা ট্যানিন দাঁতের দাগ
ফেলে। এছাড়াও যাদের অতিরিক্ত ক্যাফেন খাওয়ায় দুর্বলতা আছে তাদের চা খাওয়ার
পরে, অস্থিরতা এবং মাথা ব্যথা অনুভব হতে পারে।
কফি খাওয়ার অপকারিতা
চা এর থেকে কফিতে অধিক পরিমাণে ক্যাফেইন থাকায় অতিরিক্ত কফি খাওয়া আপনার জন্য
ক্ষতিকর হতে পারে। অতিরিক্ত কফি খেলে আপনার ঘুম না আসা, অস্থির লাগা,
হৃদস্পন্দন দ্রুত হওয়া বা উদ্বিগ্নতা দেখা দিতে পারে।
যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের অতিরিক্ত কফি খাওয়া উচিত না। কফি সাময়িকভাবে
রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে নিয়মিত কফি খাওয়ার একটি অভ্যাস তৈরি করার
মাধ্যমে অতি সহজেই আপনার শরীরের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারবেন।
কফি পাকস্থলীতে অ্যাসিড বৃদ্ধি করে যার ফলে বুক জ্বালা এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা
হতে পারে। যাদের গ্যাস্ট্রাইটিস বা আলসার আছে তাদের কফি এড়িয়ে চলা ভালো। খালি
পেটে কফি খেলে পেটে ব্যথা এবং অস্বস্তি হতে পারে।
ওজন কমাতে কোনটা বেশি উপকারী
ওজন কমানোর জন্য অনেকেই চা বা কফি খেয়ে থাকেন। প্রশ্ন হলো এই দুটির মধ্যে
কোনটা ওজন কমাতে বেশি কার্যকর?
কফি সাধারণত ওজন কমাতে চায়ের চেয়ে কিছুটা বেশি কার্যকর কারণ এতে বেশি
ক্যাফেইন থাকে। কফি আপনার বিপাক হার বেশি বৃদ্ধি করে এবং শরীর থেকে অতিরিক্ত
চর্বি কমাতে বেশি সাহায্য করে। কফি ক্ষুধা কমাতেও সাহায্য করে যা ওজন কমাতে
গুরুত্বপূর্ণ।
তবে সবুজ চাও ওজন কমাতে অত্যন্ত কার্যকর। সবুজ চায়ে থাকা ক্যাটেচিন এবং
ক্যাফেইন একসাথে কাজ করে যা অতিরিক্ত চর্বি কমাই। আপনি ওজন কমানোর জন্য চা বা
কফি যেটাই খান না কেন সেটি অবশ্যই চিনি এবং দুধ ছাড়া পান করতে হবে। চিনি এবং
দুধ যোগ করলে ক্যালোরি বেড়ে যায় এবং ওজন কমানো কঠিন হয়ে যায়। ব্ল্যাক কফি
বা লাল চা ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে ভালো।
এছাড়াও মনে রাখবেন শুধু চা বা কফি খাওয়ার মাধ্যমে ওজন কমবে না। আপনাকে
স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে, নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে এবং পর্যাপ্ত ঘুমাতে
হবে। চা বা কফি শুধুমাত্র আপনার ওজন কমানোর যাত্রায় একটু সাহায্য করতে পারে।
লেখকের শেষ কথা
চা এবং কফি দুইটাই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী, তবে চা নাকি কফি কোনটা
ভালো এটা সম্পূর্ণভাবে আপনার উপরে নির্ভর করে আপনার ব্যক্তিগত পছন্দ এবং আপনার
জীবনযাত্রার উপরে। প্রিয় পাঠক আপনাদের সুবিধার্থে এই পোস্টটি লেখা আপনাদের যদি
এ পোস্টটি সহায়ক মনে হয় তাহলে আপনার প্রিয়জনদের সাথে একটি শেয়ার করুন যেন
তারাও জানতে পারে চা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা, কফি খাওয়ার স্বাস্থ্য
উপকারিতা, চা নাকি কফি কোনটা ভালো, চা এবং কফির অপকারিতা, ওজন কমাতে কোনটা বেশি
উপকারী ইত্যাদি।



টেক সমাজের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url