টক দই এর ক্ষতিকর দিক | ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার নিয়ম
সকালে খালি পেটে আদা গরম পানি খাওয়ার উপকারিতা
টক দই এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম থাকে যা আমাদের
স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী তবে অতিরিক্ত টক দই এর ক্ষতিকর দিক রয়েছে যে
সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়োজন।
টক দই খাওয়ার পরামর্শ অনেকেই দিয়ে থাকে কেননা এটি একটি পুষ্টিকর খাবার এবং
অনেকের উপকারিতা আছে। তবে টক দই কি আসলে নিরাপদ? আজকের আর্টিকেলে আপনাদেরকে
জানাবো টক দই সম্পর্কে সকল বিস্তারিত তথ্য।
পোস্ট সূচীপত্রঃ টক দই এর ক্ষতিকর দিক | ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার নিয়ম
ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার নিয়ম
আপনার শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
অতিরিক্ত ওজনের জন্য বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে যা আমাদের জন্য অনেক ক্ষতিকর।
ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন মেডিসিন বা পণ্য বাজার বিক্রি হয় তবে সেগুলো ওজন কমানোর
চে আমাদের শরীরের উল্টো ক্ষতি করে থাকে। এজন্য আমাদের অতিরিক্ত ওজন কমানোর
ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক পদ্ধতি এবং কৌশল মেনে চলা সেরা। প্রাকৃতিকভাবে ওজন কমানোর
জন্য আপনি নিয়মিত টক দই খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। দইয়ের মধ্যে বিভিন্ন
উপকারী উপাদান রয়েছে যেগুলো আমাদের ওজন কমানোর সাথে সাথে আমাদেরকে বিভিন্ন
স্বাস্থ্য উপকারিতা দিয়ে থাকে।
টক দইয়ে থাকা প্রোটিন আমাদের দ্রুত পেট ভরায় এবং ঘনঘন ক্ষুধা লাগা কমায়। এজন্য
আমরা স্বাভাবিকভাবেই কম খাবার খাই। কম খাওয়ার ফলে শরীরে কম ক্যালরি জমে এবং ধীরে
ধীরে ওজন কমাতে সাহায্য করে। আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে তাহলে টক দই আপনার মিষ্টি
খাওয়ার অভ্যাস কমাতে অনেকটা সাহায্য করতে পারে। সাধারণত টক দই তেমনটা মিষ্টি হয়
না এবং সাধারণ মিষ্টিতো নাই টক দই ক্যালোরি কম থাকে তবে পুষ্টিগুণে ভরপুর। উচ্চ
গ্যালারিযুক্ত খাবার খাওয়ার পরিবর্তে আপনি নিয়ম টক দই খাওয়ার একটি ভালো অভ্যাস
গড়ে তুলতে পারেন। তবে অতিরিক্ত টক দই খাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে এজন্য আপনি জানা প্রয়োজন টক দই এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে।
টক দই খাওয়ার উপকারিতা
অতিরিক্ত টক দই খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতিকর দিক রয়েছে তবে আমরা যদি নিয়ম মেনে সঠিক
পরিমাণে যথাযথভাবে খায় তাহলে টক দইয়ের অনেক উপকারিতা পেতে পারি। টক দই
পুষ্টিগুণে ভরপুর যা আমাদের শরীরের জন্য সকল পুষ্টিকর উপাদান দিয়ে থাকে। হজম
শক্তি উন্নত করা, ওজন কমানো, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা, এলার্জির লক্ষণ
কমানো ছাড়াও আমাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করে।
হজমশক্তি উন্নত করে
নিয়মিত টক দই খেলে আমাদের হজমশক্তি অনেক ভালো হয়। দই আমাদের পেটের ভালো
ব্যাকটেরিয়া গুলো বাড়িয়ে দেয় যার ফলে শরীর হালকা হওয়ায় সাহায্য করে।
নিয়মিত দই খেলে এটি আমাদের পেটের ক্ষতিকর জীবাণুগুলো কমাতে সাহায্য করে যার ফলে
আমাদের পচনতন্ত্র সুস্থ থাকে। নিয়মিত দই খেলে আমাদের পেটের প্রদাহও কমানোর
পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যর মত সমস্যাগুলো দূর করতে সাহায্য করে। টকদই আমাদের পেটের
জন্য অনেক উপকারী এবং হজম প্রক্রিয়া আরো শক্তিশালী করে তোলে।
প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
নিয়মিত টক দই খেলে এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটা বাড়িয়ে দেয় এবং
বিভিন্ন ধরনের রোগের সংক্রমণ থেকে আমাদের শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। টক দই
আমাদের বিভিন্ন সংক্রমণ যেমন সর্দি কাশি, ফ্লু এবং এমনকি ক্যান্সারের মতো
সমস্যাগুলির প্রভাব কমাতেও অনেকটা সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
টক দইয়ের মধ্যে বিশেষ কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলো নিয়মিত খাওয়ার ফলে আমাদের
ক্যান্সারের প্রভাব অনেকটা কমতে পারে। নিয়মিত দই খেলে কোলন, মূত্রাশয় এবং স্তন
ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। দই শরীরকে ভিতর থেকে শক্তিশালী করে এবং
ক্ষতিকর কোষ গঠনের যদি অনেকটাই কমাতে সাহায্য করে।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
নিয়মিত টক দই খাওয়ার ফলে আমাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য
করে। যাদের ডায়াবেটিসে সমস্যা আছে তাদের জন্য টক দই খাওয়ার অনেক উপকারী হতে
পারে। টক দই আমাদের জন্য অনেক উপকারী, কারণ এটি আমাদের রক্তের গ্লুকোজ এর মাধ্যমে
নিয়ন্ত্রণে রাখে যার ফলে আমাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকে।
হাড়ের জন্য ভালো
টক দইয়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে, যা আমাদের হাড়ের জন্য অনেক
উপকারী। নিয়মিত টক দই খেলে আমাদের হাড় শক্ত করতে সাহায্য করে এবং হাড়ের মধ্যে
ঘনত্ব ঠিক রাখে। এর ফলে আমাদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফ্র্যাকচার বা
অস্টিওপোরোসিস হওয়ার ঝুঁকে অনেকটাই কমে যায়। আপনাদের হাড়ে শক্তি বাড়ানোর জন্য
নিয়মিত টক দই খাওয়ার একটি ভালো অভ্যাস তৈরি করতে পারেন।
ফোলাভাব কমে
নিয়মিত টক দই খেলে শরীরের ভেতরের ফোলা ভাব অনেকটাই কমাতে সাহায্য করে। শরীরের
ভিতরে ফলোভাব থাকলে অনেকগুলো রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে যেমন অটোইমিউন রোগ,
ডায়াবেটিস, ক্যান্সার এবং আর্থ্রাইটিস। নিয়মিত টক দই খেলে শরীরের
ফলোভাব কমে এবং এসব রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমতে সাহায্য করে।
উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
নিয়মিত টক দই খেলে আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে যার হৃদয়ের ঝুঁকি কমাতে
অনেকটাই সাহায্য করে। টক দইয়ের মধ্যে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা উচ্চ
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে যার ফলে হৃদরোগের সম্ভাবনা কমে এবং আমাদের শরীরকে
হৃদরোগের যুক্তি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
অ্যালার্জির লক্ষণ কমায়
যাদের বিভিন্ন ধরনের এলার্জি সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত টক দই খাওয়ার মাধ্যমে
শরীরে এলার্জি প্রভাব অনেকটাই কমাতে পারবেন। নিয়মিত টক দই খেলে আমাদের শরীরে
অ্যান্টিবডি তৈরি হয় যা এলার্জির লক্ষণ কমাতে অনেকটাই সাহায্য করে। টক দইয়ের
মধ্যে থাকা প্রোবায়োটিক এই কাজটি করে, ফলে অ্যালার্জির সমস্যা কম হয়।
টক দই এর ক্ষতিকর দিক
নিয়মিত টক দই খেলে আপনি বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে পারেন কেননা টক দের
মধ্যে বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
তবে অতিরিক্ত টক দই খেলে এটি আমাদের শরীরকে উল্টা ক্ষতি করতে পারে। হজমে সমস্যা,
এসিডিটি, অধিক ক্যালোরির বেরে জাওয়া ইত্যাদি। এছাড়াও টক দই এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানার মাধ্যমে আপনারা অতি সহজে টক দইয়ের ক্ষতিকর দিকগুলো এড়াতে পারবেন।
হজমের সমস্যা
দইয়ে ল্যাকটোজ কম থাকলেও, বেশি দই খেলে পেট ফাঁপা, অতিরিক্ত গ্যাস বা ডায়রিয়ার
মতো সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে যাদের ল্যাকটোজে অসহিষ্ণুতা রয়েছে। তবে পরিমাণ
মতো নিয়ম করে দই খেলে এসব সমস্যাকে খুব সহজেই এড়াতে পারবেন।
অতিরিক্ত চিনি
বাজারে পাওয়া বেশিরভাগ দইয়ের মধ্যে চিনি মিশানো থাকে। টক দের মধ্যে
তুলনামূলকভাবে চিনি কম মেশানো হলো অনেকে টকদের মধ্যে অতিরিক্ত চিনি মিশিয়ে
বিক্রি করে। এসব দই বেশি খেলে আমাদের ওজন বাড়তে পারে এবং ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের
ঝুঁকি বাড়াতে সাহায্য করে। এজন্য আমাদের টক দই খাওয়ার সময় সচেতন হওয়া উচিত
যেন আমরা চিনি মুক্ত টক দই খাই।
দাঁতের ক্ষতি
টক দই স্বাভাবিকভাবে কিছুটা অ্যাসিটিক হওয়ায় অতিরিক্ত দই খেলে আমাদের দাঁতের
ক্ষতিও হতে পারে। অতিরিক্ত টক দই খেলে আমাদের দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে বা
দাঁতে ব্যথা তৈরি হয়। তবে যদি আপনি নিয়মিত টক দই খাওয়ার একটি অভ্যাস গড়ে
তুলতে পারেন তাহলে দাঁতে সকল সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে। আপনি টক দই
খাওয়ার পরে পানি দিয়ে মুখ গুলি করে ফেলার মাধ্যমেও দাঁত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার
ঝুঁকি অনেকটাই কমাতে পারবেন।
ক্যালোরি বেড়ে যাওয়া
টক দই খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী হলেও, অতিরিক্ত টক দই খেলে
আমাদের শরীরে ক্যালরির পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে যায়। এর ফলে আমাদের ওজন বৃদ্ধি
পেতে পারে, তবে আমরা যদি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে প্রতিদিন টক দই খায় তাহলে
অতিরিক্ত ক্যালরি বাড়ার সমস্যাটি আমরা অতি সহজেই এড়াতে পারবো এবং টক দইয়ের
সকল পুষ্টি উপকারিতা আমাদের শরীরে নিতে পারবো।
প্রতিদিন কতটুকু দই খাওয়া উচিত
প্রতিদিন কতটুকু দই খাওয়া উচিত এটি আপনার বয়স এবং শরীরের উপরে নির্ভর করে
থাকে। সাধারণভাবে আপনি প্রতিদিন আধা কাপ বা ১০০ থেকে ২০০ গ্রাম পর্যন্ত টক দই
খেতে পারবেন, এটি আপনার জন্য যথেষ্ট। তবে আপনি যদি এর থেকেও বেশি খেতে চান
সেক্ষেত্রে নিয়মিত খাবার মাধ্যমে টক দই খাবার অভ্যাস তৈরি করার মাধ্যমে এই
পরিমাণটি আরো বাড়াতে পারবেন। আপনি যদি হঠাৎ করে অতিরিক্ত টক দই খাওয়া শুরু
করেন তাহলে আপনার পেটে গ্যাসের সমস্যার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে
পারে। এজন্য সুস্বাস্থ্য অর্জন করার জন্য এবং টক দই এর ক্ষতিকর দিক এড়ানোর
জন্য প্রতিদিন টক দই খাওয়ার সময় পরিমাণ মতো খাওয়া উচিত।
ত্বক ও চুলের জন্য টক দইয়ের ব্যবহার
টক দই শুধুমাত্র খাওয়ার জন্যই ব্যবহার করা হয় না টক দই ব্যবহার করা হয়
প্রাকৃতিকভাবেই স্কিন কেয়ার এবং চুলের উন্নতির জন্য। টক দই থাকা বিভিন্ন
পুষ্টিকর উপাদান আমাদের ত্বকের সকল ময়লা পরিষ্কার ও গোরা থেকে শক্ত করে তোলে
এবং নিয়মিত টক দইয়ের ব্যবহার করার মাধ্যমে আমাদের চুলকে আরো মসৃণ করে তোলে।
ত্বক এবং চুলের যত্নের জন্য অনেক সময় সাধারণভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে তবে টক
দইয়ের অ্যাসিটিক উপাদানের জন্য টক দই বেশি ব্যবহার করা হয়ে। এটা আমাদের
ত্বককে গভীর থেকে পরিষ্কার করার মাধ্যমে উজ্জ্বল করে তোলে।
ত্বকের জন্য টক দইয়ের উপকারিতা
টক দই থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড আমাদের ত্বকে জমে থাকা সকল ময়লা গভীর থেকে
পরিষ্কার করতে অনেকটাই সাহায্য করে। এর মাধ্যমে আমাদের ত্বক আগে থেকে উজ্জ্বল
এবং সতেজ দেখায়। আমাদের তরফ থেকে রোদে পোড়া দাগগুলো টক দইয়ের মাধ্যমে অনেক
সহজেই দূর করা যায় এছাড়াও আমাদের ত্বকের অতিরিক্ত তেল টক দই ব্যবহার করার
মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবে ঠিক করা সম্ভব। ত্বকে অতিরিক্ত তেলের কারণে আমাদের
ব্রণ হয়ে থাকে, আপনি যদি নিয়মিত টক দই এর ব্যবহার করেন তাহলে ব্রণের প্রভাব
অনেক কমে যাবে হয়ে যাবে। টক দই মুখে লাগিয়ে বা টক দই থেকে তৈরি যে কোন পেস্ট মুখে লাগিয়ে ১০-১৫
মিনিট পরে তা ধুয়ে ফেলুন এবং আপনি পাবেন একটি সতেজ এবং পরিষ্কার ত্বক। টক দই এর উপকারিতা সাথে টক দই এর ক্ষতিকর দিক ও রয়েছে যেগুলো আপনার জানা উচিত।
চুলের জন্য টক দইয়ের উপকারিতা
আপনারা চুলের উন্নতির জন্য বাজারে পাওয়া বিভিন্ন শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার এর
ব্যবহার করে থাকেন তবে আপনারা জানেন কি টক দই ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি
প্রাকৃতিকভাবেই আপনার চুলের উন্নতি করতে পারবেন। টক দইয়ের মধ্যে বিভিন্ন
পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে যেগুলো আপনার চুলকে আরো নরম, গোরা থেকে শক্ত এবং
চুলের খুশকি কমাতেও অনেকটাই সাহায্য করে। টক দই মাথার স্কাল্প ঠান্ডা রাখে
যার মাধ্যমে আমাদের মাথার চুলকানি এবং জ্বালা পোড়াও অনেকটাই কমে যায়। আপনার
যদি নিয়মিত সপ্তাহে ১ থেকে ২ দিন টক দই ব্যবহার করেন তাহলে একটি স্বাস্থ্যকর
উন্নত চুল পেতে পারবেন।
লেখকের শেষ কথা
নিয়মিত টক দই খাওয়া আপনার জন্য অনেক উপকারী হতে পারে তবে আপনি যদি
অতিরিক্ত পরিমাণে টক দই খান তাহলে তা আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। টক দই
পুষ্টিতে ভরা যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী, এছাড়াও টক দই আমাদের ত্বক
এবং চুলের জন্য অনেক উপকারী। টক দই যে কোন খাবারের সাথেই আমরা খেতে পারি
এমনকি টক দই এর স্মুদি বানিয়েও আমরা খেতে পারি। আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, আমাদের হজম শক্তি উন্নতি
করে, আমাদের হাড়ের জন্য ভালো এবং উচ্চ রক্তচাপ কমাতে অনেকটাই সাহায্য করে। নিয়মিত টক দই
খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করা আপনার জন্য সেরা হতে পারে। প্রিয় পাঠক আপনাদের সুবিধার্থে এই পোস্টটি লেখা আপনাদের যদি এ পোস্টটি সহায়ক
মনে হয় তাহলে আপনার প্রিয়জনদের সাথে একটি শেয়ার করুন যেন তারাও জানতে পারেন
ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার নিয়ম, টক দই খাওয়ার উপকারিতা, টক দই এর ক্ষতিকর দিক,
প্রতিদিন কতটুকু দই খাওয়া উচিত, ত্বক ও চুলের জন্য টক দইয়ের ব্যবহার ইত্যাদি।
দেন



টেক সমাজের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url