বাংলাদেশ থেকে দুবাই ভিসা করতে কত টাকা লাগে ২০২৫
২০২৫ সালে কোন স্কিল শিখলে দ্রুত অনলাইন ইনকাম করা যাবে
দুবাই যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়ে থাকে। আপনি যদি
দুবাই যেতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই জানা প্রয়োজন দুবাই যেতে কোন কাগজপত্র
প্রয়োজন হয়ে থাকে। ভিসার উপরে নির্ভর করে কাগজপত্রের মধ্যে কিছু পরিবর্তন হতে
পারে তবে সাধারণত যে ধরনের কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়ে থাকে তা হলো।
দুবাই আরব আমিরাতের মধ্যে অনেক বিশ্বখ্যাত একটি শহর। দুবাইয়ের আধুনিকতা,
উন্নত জীবনযাত্রা এবং চাকরির সুযোগের জন্য অনেকেই দুবাই যেতে চান এবং বাংলাদেশ
থেকে দুবাই ভিসা করতে কত টাকা লাগে ২০২৫ এ বিষয়ে জানতে চান।
বাংলাদেশ থেকে দুবাই ভিসা করতে কত টাকা লাগে, দুবাই কাজের ভিসা খরচ, দুবাই
টুরিস্ট ভিসা দাম, দুবাই ভিসা করার নিয়ম ইত্যাদি সম্পর্কে কি আপনি জানতে চান?
তাহলে আপনার জন্য এই আর্টিকেলে রয়েছে দুবাই ভিসা সম্পর্কে সকল তথ্য।
পোস্ট সূচীপত্রঃ বাংলাদেশ থেকে দুবাই ভিসা করতে কত টাকা লাগে ২০২৫
- বাংলাদেশ থেকে দুবাই ভিসা করতে কত টাকা লাগে ২০২৫
- দুবাই টুরিস্ট ভিসা দাম কত ২০২৫
- দুবাই কোম্পানি ভিসা খরচ ২০২৫
- দুবাই স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৫
- দুবাই ভিজিট ভিসা খরচ ২০২৫
- দুবাই ফ্যামিলি ভিসা খরচ ২০২৫
- দুবাই ভিসা পেতে কত সময় লাগে
- দুবাই যাওয়ার সুবিধা ও অসুবিধা
- দুবাই যেতে বয়সসীমা কত
- দুবাই ভিসা বাতিল হবার কারণ
- দুবাই ভিসা প্রতারণা থেকে বাঁচার উপায়
- দুবাই যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে
- দুবাইতে কোন কাজের চাহিদা বেশি
- লেখক এর শেষ কথা
বাংলাদেশ থেকে দুবাই ভিসা করতে কত টাকা লাগে ২০২৫
বাংলাদেশ থেকে দুবাই ভিসা করতে কত টাকা লাগে এ নিয়ে অনেকেই ভাবেন, বাংলাদেশ থেকে
দুবাই যাওয়ার জন্য কত টাকা লাগতে পারে এটি নির্ভর করে আপনি কোন ধরনের ভিসা নিবেন
তার উপরে। দুবাই যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা পাওয়া যায় যেমন ওয়ার্ক
পারমিট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, কোম্পানি ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা এবং ফ্রি ভিসা
ইত্যাদি। এছাড়াও আপনি সরকারিভাবে নাকি বেসরকারিভাবে দুবাই যাচ্ছেন তার উপরেও
আপনার খরচ অনেকটা নির্ভর করে। সরকারি ভিসার ক্ষেত্রে খরচ অনেকটাই কমানো সম্ভব
কিন্তু বেসরকারি এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে আপনি যদি দুবাই যান সে ক্ষেত্রে ভিসা করতে
দ্বিগুণ এর বেশি টাকা লাগতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে দুবাই ভিসা করতে কত টাকা লাগে ২০২৫ সালে এ নিয়ে সংক্ষেপে
বলতে গেলে আপনার ৩ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকাও খরচ হতে পারে ভিসার উপরে
নির্ভর করে। আপনাদের সুবিধার জন্য কোন বিষয় কেমন খরচ হতে পারে তার তালিকা ও
নিচে দেওয়া হল।
দুবাই টুরিস্ট ভিসা দাম কত ২০২৫
দুবাই ভ্রমণের জন্য একটি জনপ্রিয় জায়গা, প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ দুবাই
ভ্রমণ করে থাকে। আপনি যদি দুবাই ভ্রমণের জন্য যেতে চান তাহলে আপনার দুবাই
টুরিস্ট ভিসা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।
দুবাই টুরিস্ট ভিসার ধরন এবং খরচঃ
| ভিসার ধরন | মেয়াদ | আনুমানিক খরচ |
|---|---|---|
| সিঙ্গেল এন্ট্রি ট্যুরিস্ট ভিসা | ৩০ দিন | ১৫,০০০ – ২৫,০০০ টাকা |
| মাল্টিপল এন্ট্রি ট্যুরিস্ট ভিসা | ৩০ দিন | ২৫,০০০ – ৩৫,০০০ টাকা |
| লং টার্ম ট্যুরিস্ট ভিসা | ৯০ দিন | ৬০,০০০ – ৮৫,০০০ টাকা |
ভিসা ছাড় বিমানের টিকিট, হোটেল খরচ, খাওয়া ও অন্যান্য
খরচ রয়েছেই আপনি যদি দুবাই ভ্রমণের জন্য যেতে চান তাহলে আপনার মোট খরচ
১.৫ লক্ষ টাকা থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। (৭ দিনের জন্য)
দুবাই কোম্পানি ভিসা খরচ ২০২৫
দুবাই কোম্পানি ভিসা শুধু একভাবে পাওয়া যায় যদি দুবাইয়ের কোন কোম্পানি
আপনাকে স্পন্সর করে সেক্ষেত্রে। এই ভিসায় আপনি সরাসরি সেই কোম্পানির জন্য কাজ
করতে পারবেন।
দুবাই কোম্পানি ভিসা খরচঃ
- সরকারিভাবে: ৩ লক্ষ টাকা থেকে ৪ লক্ষ টাকা
- বেসরকারিভাবে: ৬ লক্ষ টাকা থেকে ৮ লক্ষ টাকা
দুবাইয়ের কোম্পানি ভিসায় আপনাকে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে তেমন
চিন্তা করতে হয় না কেননা কোম্পানি থেকেই ভিসার রিনিউয়ের সুবিধা পাওয়া
যায়।
দুবাই স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৫
বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর অনেক শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষার জন্য বিভিন্ন দেশে এ
গিয়ে থাকে। দুবাইয়ের কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো বিশ্বব্যাপী অনেক
জনপ্রিয় এবং অনেকেই সেখানে যেতে চান।সাধারণত বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বিদেশে বেশী
সুবিধা থাকার জন্য বিদেশে পড়াশোনা করতে যান, স্কলারশিপের অনেকগুলো সুবিধা
রয়েছে। স্কলারশিপের মাধ্যমে তাদের বিদেশে পড়াশোনা খরচ অনেকটাই কমে যায় এবং
স্কলারশিপে টিউশন ফি নেওয়া হয় না, মাসিক বাড়ি ভাড়া দিতে হয় না এছাড়াও
বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে।
আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে দুবাই যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার ভিসার জন্য
১.৫ লক্ষ টাকা থেকে ২.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। আপনি যদি
কোন স্কলারশিপ ছাড়াই দুবাইয়ে পড়াশোনা করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার বাসা
ভাড়া, খাওয়া-দাওয়া ছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন খরচ রয়েছে যেগুলোর জন্য
আরও বেশি টাকা লাগতে পারে।
দুবাই ভিজিট ভিসা খরচ ২০২৫
দুবাই ভিজিট ভিসা সাধারণত আত্মীয়-স্বজনদের সাথে দেখা করতে যাওয়ার জন্য
ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আপনার যদি দুবাই কোন আত্মীয়-স্বজন থাকে তাহলে আপনার এই
ভিসা নিয়ে অতি সহজেই দুবাই যেতে পারবেন। অন্যান্য ভিসার তুলনায় এটি নেওয়া
অনেক সহজ শুধু আপনাকে প্রমাণ করতে হবে যে আপনার আত্মীয় স্বজন বিদেশে থাকে এবং
আপনি তাদের কাছে যেতে চান।
আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত
আপনি যদি সরকারি ভাবে দুবাই ভিজিট ভিসা তৈরি করতে চান তাহলে আপনার ১ লক্ষ টাকা
থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। আর আপনি যদি কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের
কাছ থেকে দুবাই ভিজিট ভিসা তৈরি করতে চান তাহলে আপনার ২ লক্ষ টাকা থেকে ৩ লক্ষ
টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
দুবাই ফ্যামিলি ভিসা খরচ ২০২৫
অনেকেই দুবাইয়ে চাকরি করেন এবং আপনার পরিবারকে আপনার সাথে দুবাইয়ে নিয়ে যেতে
চান তাদের জন্য ফ্যামিলি ভিসা প্রয়োজন। আর তার ফ্যামিলিতে যতজন সদস্য থাকুক না
কেন আপনি তাদের সবাইকে ফ্যামিলি ভিসার মাধ্যমে দুবাইতে সহজেই নিয়ে যেতে
পারবেন। তবে যাদের দুবাইতে স্থায়ী চাকরির ব্যবস্থা রয়েছে শুধু তারাই ফ্যামিলি
ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
দুবাই ফ্যামিলি ভিসার জন্য আপনার সর্বনিম্ন ৩ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা
পর্যন্ত খরচ হতে পারে আপনার পরিবারের সদস্য সংখ্যা অনুযায়ী। তবে দুবাই
ফ্যামিলি ভিসার জন্য কিছু শর্ত আছে যেগুলো আপনাকে মেনে চলতে হবে যেমন আপনার আয়
নূন্যতম ৪,০০০ দিরহাম হতে হবে এবং আপনার থাকার জন্য একটি ভাল জায়গার পাশাপাশি
স্বাস্থ্য ইন্সুরেন্সও থাকতে হবে। আপনার যদি এইগুলো থাকে তাহলে আপনি সহজেই
আপনার ফ্যামিলির জন্য ভিসার আবেদন করতে পারবেন।
দুবাই ভিসা পেতে কত সময় লাগে
দুবাই ভিসা পেতে কত সময় লাগে এইটা ভিসার উপরে নির্ভর করে, বিভিন্ন ভিসার
ক্ষেত্রে এই সময়টি কম বা বেশি হতে পারে। যেমন টুরিস্ট ভিসা কয়েকদিনের মধ্যেই
পাওয়া যায় তবে কাজের ভিসা পেতে আপনার দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত সময় লাগতে
পারে। সাধারণত দুবাই ভিসার প্রসেসিং দ্রুত হয় এবং অন্যান্য দেশের তুলনায়
অনেকটাই কম সময় লাগে। নিচের ছকটি দেখার মাধ্যমে আপনারা অতি সহজেই জানতে পারবেন
কোন ভিসাটি পেতে কত সময় লেগে থাকে।
| ভিসার ধরন | সময় |
|---|---|
| ট্যুরিস্ট ভিসা | ৩–৫ দিন |
| কাজের ভিসা (সরকারি) | ২–৩ মাস |
| কাজের ভিসা (বেসরকারি) | ১–২ মাস |
| স্টুডেন্ট ভিসা | ১–২ মাস |
| ভিজিট ভিসা | ৫–১০ দিন |
| ফ্যামিলি ভিসা | ৩–৪ সপ্তাহ |
দুবাই যাওয়ার সুবিধা ও অসুবিধা
দুবাই যাবার আগে আপনাকে দুবাই যাওয়ার সকল সুবিধা এবং অসুবিধা জানা প্রয়োজন
কেননা এতে আপনারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
দুবাই যাওয়ার সুবিধাঃ
১। বাংলাদেশের তুলনায় অধিক পরিমাণে আয়ের সুবিধা
২। ফ্যামিলি ভিসার মাধ্যমে পরিবার নিয়ে থাকার সুযোগ
৩। স্বাস্থ্যের জন্য সকল ধরনের চিকিৎসা পাওয়া যায়
৪। আধুনিক জীবন যাপনের সকল ধরনের সুবিধা
৫। দুবাইয়ে অপরাধের হার অনেকটাই কম
৬। দুবাই কোন প্রকার ট্যাক্স দিতে হয় না
দুবাই যাওয়ার অসুবিধাঃ
- ১। আরবি বা ইংরেজি না বুঝলে ভাষাগত অসুবিধা
- ২। দুবাইয়ে থাকা খাওয়ার খরচ অনেক বেশি
- ৩। গ্রীষ্মকালে প্রচন্ড গরম আবহাওয়া
- ৪। সাংস্কৃতি এবং পরিবেশের পার্থক্য
- ৫। পরিবার থেকে দীর্ঘদিন দূরে থাকা
- ৬। নিয়মিত ভিসা রিনিউ করা
এইগুলা ছিল দুবাই যাওয়ার সকল সুবিধা এবং অসুবিধা, আপনার যদি দুবাই যাওয়ার
অসুবিধা গুলোর মাধ্যমে কোন সমস্যা না হয় তাহলে আপনি অতি সহজেই দুবাইয়ের
বিলাসবহুল জীবন উপভোগ করতে পারবেন। এ ছাড়াও দুবাই থাকার অসংখ্য সুবিধার রয়েছে
যেগুলো আপনি অন্যান্য দেশে নাও পেতে পারেন। দুবাই যাওয়ার জন্য আপনার
অবশ্যই জানা প্রয়োজন বাংলাদেশ থেকে দুবাই ভিসা করতে কত টাকা লাগে ২০২৫।
দুবাই যেতে বয়সসীমা কত
দুবাই যাওয়ার জন্য আপনার বয়স সীমা সাধারণত ভিসার উপরে নির্ভর হয়ে থাকে।
স্টুডেন্ট ভিসা, কাজের ভিসা বা টুরিস্ট ভিসা ইত্যাদি জন্য একটি নির্দিষ্ট
বয়সসীমা নির্ধারণ করা থাকে আপনি যদি দুবাইয়ের ভিসার জন্য আবেদন করতে চান তাহলে
আপনার অবশ্যই এই বিষয়টি জানার প্রয়োজন।
| ভিসার ধরন | ন্যূনতম বয়স | সর্বোচ্চ বয়স |
|---|---|---|
| কাজের ভিসা | ২১ বছর | ৫৫ বছর |
| স্টুডেন্ট ভিসা | ১৮ বছর | কোন সীমা নেই |
| টুরিস্ট ভিসা | কোন সীমা নেই | কোন সীমা নেই |
| ভিজিট ভিসা | কোন সীমা নেই | কোন সীমা নেই |
টুরিস্ট এবং ভিজিটর জাতীয় ভিসার জন্য সাধারণত তেমন কোন বয়সসীমা নেই তবে আপনি
যদি দুবাইয়ে কাজ করতে চান অথবা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে চান সে ক্ষেত্রে
অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট বয়স সীমা রয়েছে যেগুলো আপনাদের জানা প্রয়োজন।
দুবাই ভিসা বাতিল হবার কারণ
অনেকেই দুবাই ভিসার জন্য অ্যাপ্লাই করে থাকেন তবে তাদের ভিসা বাতিল করে দেওয়া
হয়, ভিসা তৈরীর কিছু সাধারণ নিয়ম আপনি যদি সঠিকভাবে মেনে চলেন তাহলে আপনি ভিসা
বাতিল হওয়া সহজেই এড়াতে পারবেন। বাংলাদেশ থেকে দুবাই যাওয়ার ভিসা ক্যানসেল
হয়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ গুলোর মধ্যে রয়েছেঃ
- ১। ভুল বা মিথ্যা তথ্য দেওয়া
- ২। আপনার কাগজপত্র তথ্যের অমিল থাকা
- ৩। পাসপোর্ট এর মেয়াদ কম থাকা
- ৪। ব্যাংক স্টেটমেন্ট কম থাকলে
- ৫। পুলিশ ভেরিফিকেশনে সমস্যা থাকলে
- ৬। স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে
- ৭। জাল বা প্রতারক কোম্পানির মাধ্যমে আবেদন করলে
এই কারণগুলোর জন্য অনেকের দুবাই ভিসা বাতিল হয়ে যায়, তবে আপনি যদি সঠিক তথ্য,
সঠিক কাগজপত্র এবং সকল নিয়ম মেনে চলার মাধ্যমে ভিসার জন্য এপ্লাই করেন তাহলে
আপনার ভিসা বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম। বাংলাদেশ থেকে দুবাই ভিসা করতে
কত টাকা লাগে ২০২৫ সালে এটি আপনার জন্য জানা অত্যন্ত প্রয়োজন।
দুবাই ভিসা প্রতারণা থেকে বাঁচার উপায়
অনেক প্রতারক রয়েছে যারা আপনাকে দুবাই পাঠানোর স্বপ্ন দেখি আপনাকে ফাঁদে
ফেলায় যার ফলে আপনি লাখ লাখ টাকা হারান। দুবাই যাওয়ার ক্ষেত্রে এসব
প্রতারণা অনেক সাধারণ হয়ে গেছে। নিচে কিছু কার্যকরী টিপস দেওয়া হলো
যেগুলো জানার মাধ্যমে আপনার অতি সহজেই প্রতারণা থেকে সচেতন থাকতে পারবেন।
- ১। স্বাভাবিক এর চেয়ে কম খরচে ভিসা দিতে চাইলে
- ২। দ্রুত টাকা জমা দেওয়ার চাপ তৈরি করবে
- ৩। লিখিত কোন চুক্তি না দেওয়া এবং শুধু কথার ভরসা
- ৪। দুবাইয়ে অস্বাভাবিক কাজ বা বেতনের লোভ দেখানো
- ৫। কোন স্থায়ী অফিস না থাকা এবং মোবাইলের যোগাযোগ
এই সকল টিপস মানার মাধ্যমে আপনি অতি সহজেই প্রতারণা থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে
পারবেন। তবে সরকারিভাবে ভিসা তৈরি করা সবচেয়ে ভালো কেন এটাই ভিসা তৈরি
করলে প্রতারিত হবার তেমন কোন সম্ভাবনা থাকে না।
দুবাই যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে
- ১। আপনার পাসপোর্ট যেটিতে কমপক্ষে ৬ মাসের মেয়াদ থাকতে হবে
- ২। পাসপোর্ট সাইজের কিছু ছবি
- ৩। ভিসা আবেদন ফর্ম
- ৬। শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
- ৭। কাজের অভিজ্ঞতার সনদ (যদি থাকে)
- ৮। জন্ম নিবন্ধন সনদ
- ৯। জাতীয় পরিচয়পত্র
- ১০। ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- ১। জব অফার লেটার
- ২। এমপ্লয়মেন্ট কন্ট্রাক্ট
- ৩। সিভি বা রেজিউমি
দুবাইতে কোন কাজের চাহিদা বেশি
দুবাই বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে তবে অনেকেই জানে না যে দুবাই কোন ধরনের
কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। আপনি যদি দুবাই কাজ করতে চান তাহলে
আপনার জন্য এ বিষয়টি জানা অনেক প্রয়োজন। আপনার সুবিধার জন্য নিচে
একটি তালিকা দেওয়া হলো যেখান থেকে আপনি সহজে দেখতে পারবেন দুবাইয়ের সকল
জনপ্রিয় কাজের চাহিদাগুলো।
- ১। নির্মাণ কাজের শ্রমিকঃ রাজমিস্ত্রি, কাঠমিস্ত্রি, লোহার কাজ
- ২। ইলেকট্রিশিয়ানঃ বৈদ্যুতিক কাজ
- ৩। প্লাম্বারঃ পানি লাইন এর কাজ
- ৪। ওয়েল্ডারঃ লোহার জিনিস জোড়া লাগানোর ঢালাই কাজ
- ৫। ড্রাইভারঃ ট্রাক, বাস বা ডেলিভারি ভ্যান চালানো
- ৬। ক্লিনারঃ অফিস, হোটেল বা বাসা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা
- ৭। রেস্টুরেন্ট কর্মীঃ ওয়েটার, কুক, কিচেন হেল্পার
- ৮। হোটেল স্টাফঃ রুম বয়, হাউসকিপিং
- ৯। সিকিউরিটি গার্ডঃ বাসা বা অফিসে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা
- ১০। নার্স ও কেয়ারগিভারঃ রোগীর যত্ন নেওয়া, বয়স্ক বা অসুস্থ লোক দেখাশোনা করা
- ১১। আইটি প্রফেশনালঃ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, ওয়েব ডেভেলপার
- ১২। মেকানিকঃ গাড়ি ঠিক করা বা মেরামতের কাজ
এখনের সময় দুবাইয়ে এই সকল কাজগুলোর চাহিদা অনেক বেশি। এ সকল
কাজের বেতনও বাংলাদেশের থেকে অনেক বেশি হয়ে থাকে। দুবাই কাজের বেতন
সাধারণত কত ঘন্টা কাজ করেছেন তার উপরে দেওয়া হয়ে থাকে এবং আপনি যদি প্রতি
সপ্তাহে ২৪ ঘন্টার বেশি কাজ করেন তাহলে ওভারটাইম বেতনও পাওয়া
যায়।
দুবাইয়ে মাসিক বেতন তালিকাঃ
| পেশার নাম | মাসিক বেতন (দিরহাম) | বাংলাদেশী টাকা |
|---|---|---|
| নির্মাণ শ্রমিক | ১,০০০ – ১,৫০০ AED | ৩০,০০০ – ৪৫,০০০ টাকা |
| ইলেকট্রিশিয়ান | ১,৮০০ – ২,২০০ AED | ৫৪,০০০ – ৬৬,০০০ টাকা |
| প্লাম্বার | ১,৮০০ – ২,২০০ AED | ৫৪,০০০ – ৬৬,০০০ টাকা |
| ওয়েল্ডার | ২,০০০ – ২,৫০০ AED | ৬০,০০০ – ৭৫,০০০ টাকা |
| ড্রাইভার | ২,০০০ – ২,৮০০ AED | ৬০,০০০ – ৮৪,০০০ টাকা |
| রেস্টুরেন্ট কর্মী | ১,২০০ – ২,০০০ AED | ৩৬,০০০ – ৬০,০০০ টাকা |
| হোটেল স্টাফ | ১,৫০০ – ২,২০০ AED | ৪৫,০০০ – ৬৬,০০০ টাকা |
| সিকিউরিটি গার্ড | ১,৫০০ – ২,০০০ AED | ৪৫,০০০ – ৬০,০০০ টাকা |
| মার্চেন্ডাইজার | ১,৮০০ – ২,২০০ AED | ৫৪,০০০ – ৬৬,০০০ টাকা |
| আইটি প্রফেশনাল | ২,৫০০ – ৪,০০০ AED | ৭৫,০০০ – ১,২০,০০০ টাকা |
| মেকানিক | ১,৮০০ – ২,৮০০ AED | ৫৪,০০০ – ৮৪,০০০ টাকা |
লেখক এর শেষ কথা
দুবাই একটি আধুনিক এবং জনপ্রিয় রাষ্ট্র, সবাই দুবাই বিভিন্ন কারণে যেতে চান
হয়তো সেটা হতে পারে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে, কাজের উদ্দেশ্যে কিংবা পড়াশোনার
উদ্দেশ্যে। আপনার উদ্দেশ্য যেটাই আপনি কেন আপনার দুবাই যাওয়ার জন্য একটি ভিসা
প্রয়োজন যেটি সরকারের কাছে আবেদন করার ফলে অনেক সহজেই পেতে পারবেন। দুবাই
যাওয়ার মাধ্যমে আপনি আধুনিকভাবে জীবন যাপন করতে পারবেন ও দুবাই গিয়ে অনেক পরিমাণ
আয় করতে পারবেন তবে বিদেশে যাওয়ার অনেক অসুবিধাও রয়েছে। তবে আপনি যদি সবকিছু
ঠিকঠাক ভাবে ম্যানেজ করতে পারেন তাহলে দুবাই যাওয়া আপনার জন্য অনেক উপকারী হতে
পারে। প্রিয় পাঠক আপনাদের সুবিধার্থে এই পোস্টটি লেখা আপনাদের যদি এ পোস্টটি
সহায়ক মনে হয় তাহলে আপনার প্রিয়জনদের সাথে একটি শেয়ার করুন যেন তারাও জানতে
পারে বাংলাদেশ থেকে দুবাই ভিসা করতে কত টাকা লাগে ২০২৫, দুবাই টুরিস্ট ভিসা দাম
কত ২০২৫ , দুবাই কোম্পানি ভিসা খরচ ২০২৫, দুবাই স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৫, দুবাই
ভিজিট ভিসা খরচ ২০২৫, দুবাই ফ্যামিলি ভিসা খরচ ২০২৫, দুবাই ভিসা পেতে কত সময়
লাগে, দুবাই যাওয়ার সুবিধা ও অসুবিধা, দুবাই যেতে বয়সসীমা কত, দুবাই ভিসা বাতিল
হবার কারণ, দুবাই ভিসা প্রতারণা থেকে বাঁচার উপায়, দুবাই যেতে কি কি কাগজপত্র
লাগে, দুবাইতে কোন কাজের চাহিদা বেশি ইত্যাদি।



টেক সমাজের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url