প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত
দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায়
অনেকে মনে প্রশ্ন থাকে যে প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত, নিয়মিত পরিমাণ
মতো কিসমিস খাবার ফলে আপনি বিভিন্ন পুষ্টি উপকারিতা লাভ করতে পারেন তবে অতিরিক্ত
কিসমিস খেলে এটি আপনার শরীরের বিভিন্ন ক্ষতি করতে পারে।
আজকের আর্টিকেলে আপনাকে জানাবো কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা, সকালে খালি পেটে কিসমিস
ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়ম, অতিরিক্ত কিসমিস খেলে কি ধরনের সমস্যা হতে পারে এবং
কিসমিসের বিষয়ে সকল তথ্য।
পোস্ট সূচীপত্রঃ প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত
কিসমিস কি
কিসমিস সাধারণত আঙ্গুর শুকিয়ে বানানো হয়ে থাকে, সাধারণ আঙ্গুরের
তুলনায় শুকনো আঙ্গুরকে প্রক্রিয়াজাত করে কিসমিস বানানোর মাধ্যমে এর
মধ্যে পুষ্টি এবং শর্করার মাত্রা অনেকটা বেড়ে যায় যা কিসমিস কে
পুষ্টিকর গড়ে তোলে।
কিসমিস আমাদের মাঝে অনেক জনপ্রিয়, এটি আমরা বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহার করার
পাশাপাশি সাধারণভাবে খেয়েও থাকে। কিসমিস শুধু এক ধরনের আঙ্গুর থেকে না বরং
বিভিন্ন ধরনের আঙ্গুর থেকেই কিসমিস তৈরি করা সম্ভব। বিভিন্ন আঙ্গুর
থেকে কিসমিস তৈরি করার ফলে কিসমিসের রং এবং স্বাদের পরিবর্তন হয়ে থাকে।
আঙ্গু শুকিয়ে কিসমিস তৈরি করা বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে তবে প্রাকৃতিকভাবে আঙ্গুর
রোদে শুকিয়ে কিসমিস তৈরি করা হয়ে থাকে এর ফলে কিসমিসের রং আরো গারো এবং
পুষ্টিকর হয়ে থাকে।
সাধারণত কিসমিস শুকাতে প্রায় তিন সপ্তাহ মতো সময় লেগে থাকে।
কিসমিস খাওয়ার সময় আমাদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন আমরা এটি পরিমাণ মতো খাই
কেননা কিসমিসের মধ্যে প্রাকৃতিক চিনি, অতিরিক্ত ক্যালরি মত
বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে যেগুলো অধিক পরিমাণে খাওয়ার ফলে আমাদের
বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। এজন্য আমাদের জানা প্রয়োজন প্রতিদিন কতটুকু
কিসমিস খাওয়া উচিত।
প্রতিদিন কিসমিস খেলে কি হয়
নিয়মিত কিসমিস খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী হতে পারে যত ধরনের
আপনি খুব বেশি পরিমাণে না খেয়ে ফেলেন। কিসমিসের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি
উপাদান রয়েছে যেমন প্রাকৃতিক শর্করা, ফাইবার, আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো পুষ্টি। আপনার চিনি খাওয়ার অভ্যাস দূর করার জন্য
কিসমিস অনেকটাই সাহায্য করতে পারে কেননা এটি একটি প্রাকৃতিক চিনি যার মধ্যে তেমন
কোন ক্ষতিকর দিক নেই। নিয়মিত কিসমিস খাওয়ার ফলে এটি আপনার হজমের সমস্যা দূর
করতে পারে, আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করতে পারে এবং আপনার শরীরের রক্তচাপ
নিয়ে তুমি পাশাপাশি শরীরকে শক্তি যোগাতেও অনেকটা সাহায্য করে। এজন্য আপনাদের
নিয়মিত কিসমিস খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।
প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত
শুধু তুমি কতটুকু কিসমিস খাবেন এটি বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যেমন আপনার খাদ্য তালিকায় প্রয়োজন সকল উষ্টি উপাদান ঠিকভাবে পাচ্ছেন কিনা, আপনার স্বাস্থ্যের লক্ষ্য এছাড়াও আপনার চিকিৎসগত অবস্থার উপরেও এটি নির্ভর করে থাকে। তবে কিসমিসের সকল স্বাস্থ্যগত সুবিধা করল বাবার জন্য আপনি প্রতিদিন ৮০ থেকে ৯০ গ্রাম পর্যন্ত কিসমিস খেতে পারেন। কিসমিস আমাদের নিয়মিত খাওয়া প্রয়োজন এটাই আমাদের বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে এবং আমাদের সুস্বাস্থ্য অর্জন করতে সাহায্য করে।
সকালে খালি পেটে কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়ম
অনেকেই নিজেদের সকাল ভিজিয়ে রাখা কিসমিস খেয়ে শুরু করে থাকেন, সকালে খালি
পেটে ভিজিয়ে রাখা কিসমিস খাওয়ার অনেক গুরুত্ব রয়েছে। কিসমিস আমাদের
শরীরের জন্য অনেক স্বাস্থ্যকর এবং আপনার সারা দিনে যে সকল প্রক্রিয়া পাঠান গুলো
প্রয়োজন তা কিসমিসের মধ্যে রয়েছে। কিসমিসে থাকা পলিফেনলের মতো
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদাহ কমাতে পারে এবং কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে
পারে। এগুলিতে বোরন সমৃদ্ধ, যা সুস্থ হাড় বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয়
একটি খনিজ। কিসমিসে পটাসিয়ামের পরিমাণ রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং
শরীরে সোডিয়াম গ্রহণ করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
কিসমিস আকারে ছোট হলেও এগুলো পুষ্টি উপাদানে ভরপুর, এজন্য নিয়মিত কিসমিস
খাওয়ার ফলে আপনারা বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দূর করতে পারবেন। বিশেষ করে ওজন
কমানোর ক্ষেত্রেও কিসমিস অনেকটাই সাহায্য করে। আপনি যদি অতিরিক্ত ওজনের
সমস্যায় চিন্তিত সে ক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে নিয়মিত কিসমিস খাওয়ার অভ্যাস
গড়ে তোলা আপনার জন্য উপকারী হতে পারে।
কিসমিস খাওয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী উপকারিতাগুলির মধ্যে একটি হল হৃদরোগ এবং
হাড়ের শক্তি বৃদ্ধিতে কিসমিসের ভূমিকা। কিসমিসের মধ্যে একটি
গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বোরন রয়েছে যা আমাদের শরীরের সকল হাড় জনিত
সমস্যাগুলো দূর করতেও সাহায্য করতে পারে। তবে অতিরিক্ত কিসমিস খাওয়া আমাদের
এড়িয়ে চলা উত্তম কেননা অনেকগুলো কিসমিসের মধ্যে অতিরিক্ত চিনি
বা প্রিজারভেটিভ যুক্ত করা থাকে। এগুলো খাওয়ার ফলে আমাদের দাঁতের
ক্ষয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে।
প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত এ বিষয়টি জানার মাধ্যমে আমরা কিসমিস
খেয়ে সুস্বাস্থ্য অর্জন করতে পারব। কিসমিস খাওয়া সহজ এবং একটি সুবিধাজনক
খাবার যা হৃদপিণ্ড, হজম এবং সব ধরনের সুস্থতার জন্য ভালো।
ওজন কমাতে কিসমিস
আপনার হয়তো অনেকেই শুনেছেন যে প্রতিদিন কিসমিস খাওয়ার মাধ্যমে ওজন কমানো সম্ভব,
এটি আসলে সম্ভব। কিসমিস বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে এবং প্রতিটি কিসমিসের বিভিন্ন
উপকারিতা রয়েছে তবে ওজন কমানোর জন্য কালো কিসমিস বিশেষভাবে জনপ্রিয়। আপনার মনের
প্রশ্ন জাগতে পারে যে এই কালো কিসমিস টা কি, কালো কিসমিস সাধারণত কালো আঙ্গুর
থেকে তৈরি করা হয় এবং এটি প্রাকৃতিকভাবে সূর্যের আলোতে শুকিয়ে তৈরি করা হয়।
এজন্য সাধারণ কিসমিসের তুলনায় কালো কিসমিস অধিক পরিমাণে পুষ্টি উপাদান থাকে।
কালো কিসমিস আমাদের চুল ও ত্বকের জন্য অনেক উপকারী বিশেষ করে ওজন কমানোর
ক্ষেত্রে। প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত এই বিষয় সম্পর্কে জানার মাধ্যমে
আমরা কালো কিসমিস খাওয়ার মাধ্যমে অতি সহজেই ওজন কমাতে পারি।
আপনি যদি কিসমিস খাওয়ার মাধ্যমে স্বাভাবিকভাবে নিজের ওজন কমাতে চান সে
ক্ষেত্রে ভিজিয়ে কিসমিস খাওয়া আপনার জন্য অনেক উপকারী হতে পারে। শুকনো
কিসমিস তুলনায় ভেজানো কিসমিস হজম করার সহজ এবং আমাদের বিপাক প্রক্রিয়া দ্রুত
করে। আজ যদি নিয়মিত সকলে খালি পেটে ১৫-২০ টি ভেজানো কিসমিস খেতে
পারে তাহলে এটি আমাদের ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে এবং হজম
শক্তির উন্নতি করে।
পরিমাণ অনুযায়ী নিয়মিত কিসমিস খেলে আপনার ওজন বাড়ার চোখে অনেকটাই কমে যায় এবং
এর পাশাপাশি কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা তো রয়েছেই। তবে আমাদের খেয়াল
রাখতে হবে কিসমিসের মধ্যে কে দাঁড়িয়ে রয়েছে এই জন্য বেশি পরিমাণে কিসমিস খেলে
এতে আপনার ওজন বাড়িয়ে তুলতে পারে। ওজন কমানোর জন্য প্রতিদিন ১৫-২০
টি কিসমিস আপনার জন্য যথেষ্ট।
কিসমিসের উপকারিতা
এতে কোন সন্দেহ নেই যে আমাদের জন্য কিসমিস একটি
সুস্থকর এবং স্বাস্থ্যকর খাবার, নিয়মিত কিসমিস খাওয়ার ফলে আমরা
বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান পেয়ে থাকি যা আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য
প্রয়োজনীয়। তবে কিসমিস একটি শুকনো ফল হওয়ার কারণে এর মধ্যে সাধারণ আঙ্গুর
বা অন্যান্য ফলের মত পানি উপাদান থাকে না। এই জন্য এটি খাবার ফলে আমাদের পেট
কেমন ভরে না এবং অতি সহজেই আমরা অতিরিক্ত কিসমিস খেতে পারি। নিয়মিত কিসমিস
খাবার অনেকগুলো উপকারিতা রয়েছে তবে প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত সেই
নিয়ম মেনে কিসমিস খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। নিয়মিত এক মুঠো
করে কিসমিস আপনার স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য যথেষ্ট। চলুন জেনে নেই নিয়মিত কিসমিস
খাবার কিছু অসাধারণ উপকারিতা।
হৃদরোগের উন্নতি
নিয়মিত কিসমিস খাবার ফলে হৃদরোগের মতো রোগেরও প্রভাব কমানো সম্ভব। একটি গবেষণায়
দেখা গিয়েছে যে নিয়মিত কিসমিস খাবার খোলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকে এবং রক্তের
শর্করার পরিমাণ কমিয়ে আনে যা আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
কিসমিসের মধ্যে থাকা ফাইবার আমাদের শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় যা
আমাদের হৃদরোগের উপর চাপ অনেকটাই কমিয়ে দেয়।
আমাদের শরীরে যদি পটাশিয়ামের মাত্রা কম থাকে তাহলে আমাদের রক্তচাপ, হৃদরোগ এবং
স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। তবে কিসমিস পটাশিয়ামের
একটি ভালো উৎস যেটি নিয়মিত খাবার মাধ্যমে আমরা এই সকল রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমাতে
পারবো।
দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমানো
কিসমিসের মধ্যে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে যেগুলো আমাদেরকে বিভিন্ন
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে রক্ষা করে। শুকনো ফলে সাধারণত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান
দেখতে পাওয়া যায়, এই উপাদানটি আমাদের শরীরকে অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন থেকে
ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে রক্ষা করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানটি অন্যান্য শুকনো
ফলের তুলনায় কিসমিসের মধ্যে বেশি পরিমাণে থাকে, এর ফলে নিয়মিত কিসমিস খাবার ফলে
আমরা নিজেদেরকে বিভিন্ন ক্ষতিকর থেকে রক্ষা করতে পারবো এবং ডায়াবেটিস, ক্যান্সার
এর মত দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দেয়।
পাকস্থলী যেভাবে ভালো রাখে
আমরা অনেকেই জানি ফাইবার উপাদান আমাদের হজমের সমস্যা দূর করার পাশাপাশি পেটের
সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে দেয়, এজন্য ফাইবার আমাদের শরীরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ
উপাদান। কিসমিস ফাইবারের একটি ভালো উৎস হওয়ার ফলে এটি আমরা নিয়মিত খেতে পারে
যার ফলে আমাদের পেটের উন্নতির পাশাপাশি সুস্বাস্থ্য অর্জনের জন্য সকল উষ্টি
উপাদান কিসমিস থেকে পেয়ে থাকি।
আরো পড়ুনঃ চিয়া সিডের উপকারিতা এবং অপকারিতা
কিসমিসের মধ্যে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে যার নাম হল টারটারিক
অ্যাসিড, এটি আমাদের পেটের প্রদাহ কমাতে অনেকটাই সাহায্য করতে
পারে। আমাদের পাকস্থলীকে আরো ভালো হবে কাজ করতে এবং সকল ধরনের ব্যাকটেরিয়ার
মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য এই উপাদানটি গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা নিয়মিত
কিসমিস খাওয়ার ফলে একটি সুস্থকর পাকস্থলী অর্জন করতে পারেন।
অতিরিক্ত কিসমিসের অপকারিতা
কিসমিস আমাদের জন্য অনেক উপকারী তবে অতিরিক্ত কিসমিস খাওয়ার ফলে আমাদের বিভিন্ন
সমস্যা হতে পারে। এটি একটি প্রাকৃতিক মিষ্টি উপাদান তবে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত
রোগীদের জন্য এটি পরিমাণ মতো হাওয়া প্রয়োজন এছাড়াও অতিরিক্ত কিসমিস খাওয়ার
ফলে আমাদের পেটের সমস্যার পাশাপাশি আমাদের ওজনও বেড়ে যেতে পারে। অতিরিক্ত কিসমিস
খাবার কিছু ঝুঁকিপূর্ণ দিক নিচে দেওয়া হল।
ওজন বৃদ্ধি
সঠিক পরিমাণে নিয়ম অনুযায়ী কিসমিস খেলে এটি আমাদের ওজন কমাতে অনেকটাই সাহায্য
করতে পারে না। অনেকে নিয়মিত কিসমিস খাওয়ার মাধ্যমে নিজেদের ওজন নিয়ন্ত্রণ
রাখে, কিসমিসের মধ্যে ফাইবার উপাদান রয়েছে যা খাবার মাধ্যমে আমাদের পেট ভরা ভরা
অনুভূতি থাকে যার ফলে আমরা কম খাবার খেয়ে থাকি। আমরা যদি অধিক পরিমাণে কিসমিস
খেয়ে ফেলে তাহলে এটা আমাদের অতিরিক্ত ওজন বাড়ার কারণ হতে পারে। আপনি মাঝে মাঝে
১ বা ২ দিন হয়তো অতিরিক্ত কিসমিস খেতে পারেন তবে অতিরিক্ত কিসমিস না হয় আপনার
জন্য ভালো। এর থেকে আপনি প্রতিদিন নিয়মিত ভাবে কিসমিস খেলে কোন ক্ষতি ছাড়াই
সেরা ফলাফল পেতে পারবেন।
পেটের অস্বস্তি
কিসমিসের মধ্যে থাকা ফাইবার উপাদান আপনার শরীরের জন্য অনেক ভালো। তবে কোন কিছু
থেকে আশা অতিরিক্ত ফাইবার আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। অতিরিক্ত ফাইবার
আমাদের পেটে গ্যাস, পেট ফাঁপা এবং বদ হজমের মতো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি করতে
পারে। এজন্য আমাদের কিসমিস খাওয়া নিয়ম অনুযায়ী কিসমিস খাওয়া উচিত যার মাধ্যমে
আমরা কিসমিসের সকল উপকারিতা নিতে পারব।
লেখকের শেষ কথা
কিসমিস একটি স্বাস্থ্যকর খাবার হতে পারে যদি আপনি এটি সঠিক পরিমাণে খান। সকল
শুকনো ফলো করার মধ্যে কিসমিস অন্যতম শুকনো খাবার। এর মধ্যে বিশেষ উপাদানগুলো
রয়েছে যা আপনার সুস্বাস্থ্য অর্জন করতে সাহায্য করতে পারে, আপনার দৈনিক
খাদ্যতালিকায় কিসমিস যোগ করার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন উপকারিতা লাভ করতে পারবেন।
তবে আমাদের কিসমিস অতিরিক্ত খাওয়ার বিষয় সতর্ক হতে হবে কেননা অতিরিক্ত কিসমিস
খেলে এটি আমাদের শরীরের বিভিন্ন ক্ষতি করতে পারে। প্রিয় পাঠক আপনাদের সুবিধার্থে
এই পোস্টটি লিখা আপনাদের যদি এ পোস্টটি সহায়ক মনে হয় তাহলে আপনার প্রিয়জনদের
সাথে একটি শেয়ার করুন যেন তারাও জানতে পারে কিসমিস কি, প্রতিদিন কিসমিস খেলে কি
হয়, সকালে খালি পেটে কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়ম, ওজন কমাতে কিসমিস, কিসমিসের
উপকারিতা, অতিরিক্ত কিসমিসের অপকারিতা, প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত
ইত্যাদি।



টেক সমাজের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url