মেয়েদের হার্টের সমস্যার লক্ষণ | হার্ট অ্যাটাক এর প্রাথমিক চিকিৎসা
মধু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
হৃদরোগ বা হার্টের সমস্যা অনেকের জন্যই মারাত্মক হতে পারে। তবে মেয়েদের হার্টের সমস্যার লক্ষণ ছেলেদের তুলনায় সাধারণত বেশি হয়ে থাকে। মেয়েদের ক্ষেত্রে শরীরের গঠন ও হরমোন এর পার্থক্যের কারণে তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার মাধ্যমে এবং সঠিক খাদ্য অভ্যাস, ব্যায়াম, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করে একটি স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন অনুসরণ করার মাধ্যমে আমরা অতি সহজেই হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো যেতে পারে।
পোস্ট সূচীপত্রঃ মেয়েদের হার্টের সমস্যার লক্ষণ | হার্ট অ্যাটাক এর প্রাথমিক চিকিৎসা
হার্ট অ্যাটাক কী
হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগ তখনই ঘটে যখন হৃদপিণ্ডের কিছু অংশে রক্ত সরবরাহ হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায়, সাধারণত রক্ত জমাট বাঁধার কারণে। হার্ট অ্যাটাকের পর আপনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন, তবে এটি নির্ভর করতে পারে হৃদপিণ্ডের কতটা অংশ প্রভাবিত হয়েছে তার উপর।
হৃদরোগের ঝুঁকি কাদের বেশি
যাদের বয়স ৪৫ বছরের চেয়েও বেশি তাদের হৃদরোগে ঝুঁকি অনেকটাই বেশি থাকে এবং বিশেষ করে যাদের উচ্চ রক্তচাপ বা উচ্চ কোলেস্টেরলের আছে তাদের। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা বা যাদের পারিবারিকভাবে হৃদরোগের ইতিহাস রয়েছে তাদেরও ক্ষেত্রেও বেশি ঝুঁকি হয়ে থাকে।
হৃদরোগের ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছে ৪৫ বছরের বেশি বয়সি নারী এবং পুরুষ এবং উচ্চ রক্তচাপ বা উচ্চ কোলেস্টেরলের রোগীরা। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা বা যাদের পারিবারিকভাবে হৃদরোগের ইতিহাস রয়েছে তাদেরও ঝুঁকি বেশি।
মেয়েদের হার্টের সমস্যার লক্ষণ
প্রতিবছর বাংলাদেশে হার্ট-অ্যাটাকের কারণে লক্ষ লক্ষ নারী এবং পুরুষ মারা যান, উভয়ের ক্ষেত্রে হৃদরোগ মৃত্যুর সবচেয়ে সাধারণ কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের কিছু লক্ষণ পুরুষদের থেকে কিছুটা আলাদা হতে পারে। হার্ট অ্যাটাক এবং হৃদরোগের লক্ষণ গুলো জানলে এটি আপনার জীবন বাঁচাতে সাহায্য করতে পারে।
হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগের সবচেয়ে সাধারণ উল্লেখযোগ্য কারণ হলো বুকে ব্যথা। তবে পুরুষদের তুলনায় মেয়েদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের সাথে সম্পর্কিত নাও হতে পারে এমন লক্ষণগুলি বেশি দেখা যায়, যেমন বমি বমি ভাব এবং ঘাড়ে বা পিঠে সংক্ষিপ্ত ব্যথা।
মেয়েরা প্রায়শই হার্ট অ্যাটাকের বুকের ব্যথাকে চাপ বা টানটান ভাব হিসেবে বর্ণনা করেন। কিন্তু বুকের ব্যথা ছাড়াই হার্ট অ্যাটাক হওয়া সম্ভব। পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের হার্ট অ্যাটাকের যে লক্ষণগুলি বেশি দেখা যায় সেগুলো হলো।
- ঘাড়, চোয়াল, কাঁধ, উপরের পিঠ বা উপরের পেটে ব্যথা।
- শ্বাসকষ্ট।
- এক বা উভয় বাহুতে ব্যথা।
- বমি বমি ভাব বা বমি।
- ঘামছে।
- মাথা ঘোরা বা হালকা মাথা ঘোরা।
- অস্বাভাবিক ক্লান্তি।
- অম্বল, যাকে বদহজমও বলা হয়।
এই লক্ষণগুলো অনেক সময় স্পষ্ট না-ও হতে পারে, তবে শুধু বুকের ব্যথার চেয়ে এগুলো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। মহিলাদের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ গুলো ঘুমের মধ্যেও দেখা যেতে পারে।তবে বেশিরভাগ সময় অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে এই লক্ষণগুলো হতে পারে।
মেয়েদের জন্য হৃদরোগের ঝুঁকির কারণগুলি
হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগের প্রধান ঝুঁকি গুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্থূলতা। এটি ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের জন্য প্রভাবিত করে তবে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের হৃদরোগের ঝুঁকি বিভিন্ন কারণে জন্য হতে পারে। উল্লেখযোগ্য কিছু কারণ গুলোর মধ্যে রয়েছে।
ব্যায়াম না করা
শারীরিক কার্যকলাপ না হওয়ার কারণে হার্ট অ্যাটাকে ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে আমরা নিজের শরীরকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন রোগ থেকে নিজেকে সুস্থ রাখতে পারি, এজন্য আমাদের নিয়মিত ব্যায়াম করা প্রয়োজন।
মানসিক চাপ
অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে আমাদের উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট অ্যাটাক এবং এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। হার্ট অ্যাটাকের প্রভাব ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের বেশি হয়ে থাকে এজন্য তাদের স্বাস্থ্যকর জীবন বজায় রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন।
ডায়াবেটিস
ডায়াবেটিস একটি অত্যন্ত ক্ষতিকর রোগ যে বিষয়ে আমরা সকলেই জানি। তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে এটি বেশি বিপদজনক হতে পারে কারণ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। এছাড়াও ডায়াবেটিসের কারণে শারীরিক ব্যাথা বোঝার ক্ষমতা অনেকটা পরিবর্তন হয়ে যায়, সেই জন্য মেয়েদের হার্টের সমস্যার লক্ষণ তেমনটা দেখা যায় না তবে আমাদের হৃদপিণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
গর্ভাবস্থার সমস্যা
গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস মহিলাদের দীর্ঘমেয়াদী উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। এই অবস্থাগুলি মহিলাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়িয়ে তোলে।
পরিবারের ইতিহাস
আপনার পরিবারের যদি কেউ এ রোগে আক্রান্ত থাকে বিশেষ করে আপনার পিতা-মাতা বা দাদা-দাদি সেক্ষেত্রে আপনার হৃদরোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে এই বেশি হয়ে থাকে।
অন্য রোগ
বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন অটোইমিউন রোগ, যেমন লুপাস এবং স্ক্লেরোডার্মা, এবং প্রদাহজনক অবস্থাও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
নারীদের তুলনায় পুরুষদের হৃদরোগের হার কম কেন
গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষ ও নারীর হৃদযন্ত্রের গঠন ও কার্যপ্রণালীর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে। পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের হৃদরোগের লক্ষ্য গুলি সাধারণত ১০ বছর পরে দেখা যায়। এই পার্থক্যগুলো অনেক সময় খুব সূক্ষ্ম হলেও, এগুলো নারীদের হৃদরোগের অভিজ্ঞতাকে প্রভাবিত করতে পারে। মহিলাদের হৃদরোগের ঝুঁকি পুরুষদের তুলনায় বেশি হবার বিভিন্ন কারণ রয়েছে, তার মধ্যে প্রধান কিছু কারণ গুলো হলো। এইজন্য মেয়েদের হার্টের সমস্যার লক্ষণ এর প্রতি বেশি সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
শরীরের গঠন
মহিলাদের হৃদপিণ্ড এবং রক্তনালী সাধারণত বুড়োদের তুলনায় ছোট হয়ে থাকে। এছাড়াও তাদের ভেন্ট্রিকলের দেয়াল পাতলা হয়ে থাকে।
রক্তের পরিমাণ
পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের দেহে লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ অনেক কম থাকে। যার ফলে তারা যেকোনো সময় অক্সিজেন গ্রহণ করতে বা বহন করতে পারে না।
শরীরের অবস্থান পরিবর্তন
নারীদের শরীরের অবস্থান পরিবর্তন, যেমন হঠাৎ শুয়ে থাকা অবস্থা থেকে দ্রুত উঠে দাঁড়ানো, তাদের শরীরে বেশি প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে অনেক সময় রক্তচাপ হঠাৎ কমে যেতে পারে, মাথা ঘোরা বা দুর্বল লাগার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
হরমোনের প্রভাব
তুলনায় মহিলাদের হরমোন কিছুটা আলাদা হয়ে থাকে তাদের শরীরে ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের এর মত হরমোনের পরিমাণ বেশি থাকে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বেশি থাকে। এই হরমোনগুলি আপনার হৃদরোগ এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অনেক দিককে প্রভাবিত করতে পারে।
মেয়েদের হৃদরোগের ঝুঁকি প্রতিরোধে করণীয়
হৃদরোগে ঝুঁকি থেকে বাঁচার অন্যতম একটি প্রধান উপায় হল হৃদরোগের সকল ঝুঁকি এবং কারণগুলো সম্পর্কে জানা। এর কারণগুলো জানার মাধ্যমে আপনি অতি সহজে হৃদয়কে ঝুঁকি কমাতে পারবেন। একটি স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনি অতি সহজেই হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে পারবেন। মেয়েদের হার্টের সমস্যার লক্ষণ প্রতিরোধ করার জন্য আমরা এ সকল পদক্ষেপ নিতে পারি।
হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগ প্রতিরোধ করার জন্য আপনি অনেক কিছু অবলম্বন করতে পারেন যেমন স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানো পর্যন্ত। নিচের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী সকল বিষয়গুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনি হৃদরোগে ঝুঁকি অনেকটাই কমাতে পারবেন। তবে একসাথে সব কিছু করার চেষ্টা করবেন না, আস্তে আস্তে শুরু করুন এর ফলে ভালো ফলাফল পাবেন।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ব্যায়ামের গুরুত্ব
হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগ কমানোর জন্য শুধু ব্যায়াম নয় একটি সুস্বাস্থ্য অর্জন করার জন্য আমাদের নিয়মিত ব্যায়াম করা প্রয়োজন। এটাই আমাদের শরীরকে বিভিন্ন রোগ বলা থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে এবং নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে সুস্বাস্থ্য অর্জন করা সম্ভব। নিয়মিত ব্যায়াম আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং আপনার হৃদপিণ্ডের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে এমন অন্যান্য রোগের সম্ভাবনাও কমায়।
নিয়মিত ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা ব্যায়াম করা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলুন যার মাধ্যমে আপনি হৃদয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বিভিন্ন রোগ থেকেও নিজেকে ধরে রাখতে পারবেন। নিয়মিত ব্যায়াম হার্ট অ্যাটাক এর প্রাথমিক চিকিৎসা হতে পারে।
হৃদরোগ প্রতিরোধী খাবার খাওয়া
একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য উপার করেছিলাম মাধ্যমে আপনি হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। এর পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ, হাই কোলেস্টেরল এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমাতে পারে। হৃদরোগ প্রতিরোধের জন্য সুস্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকা মধ্যে রয়েছে।
- শাকসবজি এবং ফল।
- মটরশুটি বা অন্যান্য শিম জাতীয় খাবার।
- চর্বিহীন মাংস এবং মাছ।
- কম চর্বিযুক্ত বা চর্বিহীন দুগ্ধজাত খাবার।
- কাচা শস্যদানা।
- স্বাস্থ্যকর চর্বি যেমন জলপাই তেল এবং অ্যাভোকাডো।
স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা
অতিরিক্ত ওজন আমাদের শরীরে থাকলে শুধু হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে না এর পাশাপাশি আরো বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত ওজন আমাদের শরীরে উচ্চ রক্তচাপ তৈরি করে, উচ্চ কোলেস্টেরল এবং ডায়াবেটিসের কারণ হতে পারে।
কোমরের পরিধি পেটের চর্বির পরিমাণ পরিমাপ করার জন্যও একটি কার্যকর পদ্ধতি হতে পারে। কোমরের পরিমাপ যদি এর চেয়ে বেশি হয় তবে হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। সামান্য ওজন কমানোও আপনার জন্য ভালো হতে পারে। মাত্র ৩% থেকে ৫% ওজন কমানো রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড নামক কিছু চর্বি কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে পারে, যাকে গ্লুকোজও বলা হয়। এবং এটি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে। আরও বেশি ওজন কমানো রক্তচাপ এবং রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। মেয়েদের হার্টের সমস্যার লক্ষণ কমানোর জন্য এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানো
যারা পর্যাপ্ত ঘুম পান না তাদের স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট অ্যাটাক, ডায়াবেটিস এবং বিষণ্ণতার ঝুঁকি বেশি থাকে।
বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি রাতে কমপক্ষে সাত ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন। শিশুদের সাধারণত আরও বেশি ঘুমের প্রয়োজন হয়। তাই পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিশ্চিত করুন। ঘুমের সময়সূচী তৈরি করুন এবং তা মেনে চলুন। এটি করার জন্য, প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যান এবং ঘুম থেকে উঠুন। আপনার শোবার ঘরটিও অন্ধকার এবং শান্ত রাখুন, যাতে ঘুমানো সহজ হয়।
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখ
ইদানিং সময়ে আমরা বিভিন্ন কারণে মানসিক চাপ নিয়ে থাকি যা আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ানোর আসল কারণ হতে পারে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর জন্য আমাদের মানসিক চাপ কম করার চেষ্টা করা প্রয়োজন। কাজ, পরিবার, আর্থিক অবস্থা বা অসুস্থতার মতো মানসিক চাপ নিয়ে অনেকে মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন তবে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে ভেবে মানসিক চাপ নেওয়ার চেয়ে আপনি সেইগুলো মোকাবেলা করার উপায় খোঁজার চেষ্টা করতে পারেন এর মাধ্যমে অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে আপনাকে সাহায্য করবে।
লেখকের শেষ কথা
হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগ একটি সাধারণ সমস্যা, যা অনেক কারণে হতে পারে। তবে আমরা যদি জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন আনি, তাহলে খুব সহজেই হৃদরোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এর জন্য আমাদের স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে, নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে, মানসিক চাপ কমাতে হবে এবং প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। প্রিয় পাঠক আপনাদের সুবিধার্থে এই পোস্টটি লিখা আপনাদের যদি এ পোস্টটি সহায়ক মনে হয় তাহলে আপনার প্রিয়জনদের সাথে একটি শেয়ার করুন যেন তারাও জানতে পারে হার্ট অ্যাটাক কী, হৃদরোগের ঝুঁকি কাদের বেশি, মেয়েদের হার্টের সমস্যার লক্ষণ, মেয়েদের জন্য হৃদরোগের ঝুঁকির কারণগুলি, পুরুষদের তুলনায় নারীদের হৃদরোগের হার কম কেন, নারীর হৃদরোগের ঝুঁকি প্রতিরোধে করণীয় ইত্যাদি।


টেক সমাজের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url