দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায়
পেটে অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যায় অনেকেই চিন্তিত থাকেন এবং দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় খুঁজতে থাকেন। তবে আমাদের পেটে গ্যাস তৈরি হওয়া অনেকটাই স্বাভাবিক, এটি নিয়ে চিন্তিত হওয়ার তেমন কিছু নেই। তবে অতিরিক্ত গ্যাস আপনার পেটে ব্যথা তৈরি করতে পারে।
দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে যেগুলো অনুসরণ কর মাধ্যমে আপনি অতি সহজে পেটের গ্যাস কমাতে পারবেন। এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার মাধ্যমে আপনি দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর সকল উপায় জানতে পারবে।
পোস্ট সূচীপত্রঃ দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায়
পেটে অতিরিক্ত গ্যাস হওয়ার কারণ
আমাদের পেটে অতিরিক্ত গ্যাস জমার প্রধান কারণ হতে পারে আমরা যে খাবার এবং পানীয় খাই তার কারণে। তবে অনেকের ক্ষেত্রে কিছু চিকিৎসাগত সমস্যা থেকেও পেটে অতিরিক্ত গ্যাস জমার সমস্যা তৈরি হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে ঢেকুর তোলার সময় বেশিরভাগ পেটের গ্যাস বের হয়ে যেতে পারে।
আমাদের পেটের গ্যাস তৈরি হবার প্রধান কারণ হতে পারে আমাদের দ্রুত খাবার খাবার বাজে অভ্যাস। সঠিকভাবে খাবার না খাওয়ার ফলে আমাদের পেটের ভিতরে খাবার হজম হয় না এবং যার ফলে পেটের মধ্যে অতিরিক্ত গ্যাস তৈরি হয়। খাবারগুলো সঠিকভাবে হজম না হওয়ার ফলে আমাদের পেটের মধ্যে থাকা জীবাণুগুলো সেই খাবার থেকে গ্যাস তৈরি করে।
এছাড়াও বিভিন্ন প্রকার খাবার খাওয়ার মাধ্যমে আপনার পেটে অতিরিক্ত গ্যাস তৈরি হতে পারে। এজন্য আপনাদের জানা প্রয়োজন যে কোন ধরনের খাবার থেকে বেশি পরিমাণে গ্যাস তৈরি হয়, এই বিষয় সম্পর্কে জানার মাধ্যমে আপনারা অতি সহজেই পেটের গ্যাস কমাতে পারবেন এবং এটি দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় গুলোর মধ্যে সেরা।
কিছু উচ্চফাইবার যুক্ত খাবারের কারণে আমাদের পেটে অতিরিক্ত গ্যাস তৈরি হতে পারে তার মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য খাবার হলঃ
- শিম জাতীয় খাবার যেমনঃ শিম এবং মটরশুটি
- বিভিন্ন ফল
- ফলমূল
- শাকসবজি
- আস্ত শস্যদানা যেমন গম এবং ওটস
আপনারা অনেকেই ভাববেন এইগুলো খাবার তো স্বাস্থ্যকর হিসাবে ধরা হয় তাহলে কিভাবে এইগুলো আমাদের পেটের গ্যাস তৈরি করে। এই খাবারগুলো অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার এবং ওজন কমানোর জন্য সেরা এছাড়াও এই খাবারগুলি আমাদের পেটের পরিপাকতন্ত্র কে ভালোভাবে কাজ জন্য ফাইবার যুক্ত খাবার অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই স্বাস্থ্যকর খাবারগুলো অতিরিক্ত খাবার ফলে আমাদের পেটে গ্যাস তৈরি হয়।
আরো পড়ুনঃ সকালে কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
ফাইবার যুক্ত খাওয়া ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের খাবার রয়েছে যার মাধ্যমে আপনার
পেটে অতিরিক্ত গ্যাস তৈরি হয়। সেই সকল খাদ্য তালিকার মধ্যে রয়েছেঃ
- সোডা এবং বিভিন্ন কার্বনেট পানীয় যা পেটের গ্যাস বাড়ায়
- বাজে খাদ্য অভ্যাস যেমন খুব তাড়াতাড়ি খাওয়া, খাবার মধ্য দিয়ে পানি পান করা, চুইংগাম চিবানো এবং খাওয়ার সময় কথা বলার ফলে বেশিরভাগ বাতাস গিলে ফেলা
- অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে আপনার পেটে গ্যাস তৈরি হতে পারে
পেটে অতিরিক্ত গ্যাস হওয়ার লক্ষণ
আমরা অনেকেই পেটের অতিরিক্ত গ্যাস জমে থাকলে তার স্পষ্ট লক্ষণগুলো বুঝতে পারি না। তবে এই লক্ষণগুলো স্পষ্ট জানার মাধ্যমে আমরা অতি সহজেই পেটে গ্যাস কমাতে পারি এবং এটি দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় গুলোর মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
সাধারণত পেটে অতিরিক্ত গ্যাস জমলে তেমন কোন সমস্যা হয় না তবে বিভিন্ন সময় আপনার অস্বস্তি কিংবা পেট ব্যথা হতে পারে। এবং অনেক সময় এটি শুধুমাত্র পেট ব্যথায় সীমাবদ্ধ থাকে না বরং আপনার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা বা চাপের মতো অনুভব তৈরি করতে পারে। পেটে গ্যাস জামার প্রধান লক্ষণ গুলো হলঃ
- পেট ফুলে যাওয়া বা পেটে চাপের অনুভূতি তৈরি হওয়া
- পেটের ডান বা বাম পাশে ব্যাথা বা অস্বস্তি
- পিঠের উপরের বা নিচের অংশে ব্যাথা
- বুকে চাপ বা ব্যথা তৈরি হওয়া
- পেট ব্যথা করা
এ লক্ষণ গুলো অনেক সময় অস্বস্তিকর হতে পারে এবং আপনার পেটের বাম দিকে আটকে থাকা গ্যাস বুকের ব্যথায় পরিণত হতে পারে যেটিকে অনেকে হার্ট অ্যাটাক ভেবে ভুল করে বসে। তবে আপনি যদি নিয়মিত পেটের গ্যাসের সমস্যায় ভুগছেন তাহলে একটি ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ যেন আপনাকে সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে সেরা চিকিৎসাটি দিতে পারে।
গ্যাসের সমস্যা বাড়ে কোন খাবারে
পেটে অতিরিক্ত গ্যাস তৈরি হলে আপনার কিছু খাবার এড়িয়ে চলা উচিত কেননা অনেকগুলো খাবার রয়েছে যেগুলো আমাদের পেটের গ্যাসের সমস্যা আরো বাড়িয়ে দিতে পারে। এরকম কিছু খাবারের নাম হলোঃ
- চর্বিযুক্ত বা ভাজা খাবারঃ পরোটা, পিঁয়াজু, পাকোড়া, ফাস্টফুড ইত্যাদি
- ফল যেমনঃ আপেল, নাশপাতি, আম
- দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার যেমনঃ দুধ, পনির, আইসক্রিম
- সবজি যেমনঃ ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলি, পেঁয়াজ, রসুন
এ সকল ধরনের খাবার খাবার ফলে আমাদের পেটে গ্যাসের সমস্যা তৈরি হয়। আমাদের খাদ্য তালিকা থেকে এই খাদ্যগুলো খাবার পরিমাণ কমিয়ে দিলে আমরা অতি সহজেই গ্যাসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারব।
দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর ঘরোয়া উপায়
অনেকেই প্রাকৃতিকভাবে দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় খুঁজতে থাকেন কেননা প্রাকৃতিকভাবে সব সমস্যার চিকিৎসা পাওয়া সম্ভব এবং প্রাকৃতিক পদ্ধতিটি অনুসরণ করা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। প্রাকৃতিকভাবে পেটের গ্যাস কমানোর বিভিন্ন ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে তার মধ্যে প্রধান কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো হলঃ
- ডালজাতীয় খাবারঃ মুগ ডাল, কালো বিন, ফাভা বিন, মটরশুঁটি, মসুর ডাল, চিনাবাদাম
- উচ্চ-সালফার সবজিঃ পেঁয়াজ, বসন্ত পেঁয়াজ, রসুন
- স্টার্চিযুক্ত খাবারঃ ভাত, ভুট্টা, আলু
- সব ধরণের কোমল পানীয়
আমাদের পেটে অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা থাকলে সাবধানতা রাখার প্রয়োজন
কেননা একটি ভুল খাবার খাবার মাধ্যমে আমাদের গ্যাসের সমস্যা আরো বেড়ে যেতে
পারে।
খাদ্যাভ্যাস
প্রধানত আমাদের পেটে গ্যাস তৈরি হয়ে থাকে বিভিন্ন ধরনের অনিয়মিত খাবারের কারণে। আমাদের পেটে অতিরিক্ত গ্যাস কমানোর জন্য আপনাদেরকে খাদ্যাভ্যাস এর উপরে বিশেষভাবে সচেতন হতে হবে। একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে আপনি অতি সহজেই পেটের গ্যাস কমাতে পারবেন। এবং আমাদের খাওয়ার সময় সচেতন থাকতে হবে যেন আমরা খাবারগুলো ভালোভাবে যেন চিবিয়ে খায়, যাতে খাবারের সময় আমাদের পেটে বাতাসের পরিমাণ কম যায়। ছোট ছোট খাবার খাওয়া অথবা খাওয়ার সময় কথা বলা এড়িয়ে চলার মাধ্যমে আমরা পেটে অতিরিক্ত গ্যাস তৈরি কমাতে সাহায্য
করতে পারে।
নিয়মিত ব্যায়াম
নিয়মিত ব্যায়াম করা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং শারীরিক কার্যকলাপ এর উন্নতি করতে অনেকটাই সাহায্য করে। এর পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করলে আমাদের পেটে আটকে থাকা গ্যাস কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত কিছু ব্যায়াম যেমনঃ
- খাবারের পর ১০-১৫ মিনিট হাঁটা
- হালকা দৌড়ানো বা সাইকেল চালানো
- পেটের দিকে লক্ষ্য করে হালকা স্ট্রেচিং ব্যায়াম
এই সকাল ব্যায়াম করার মাধ্যমে আমরা অতি সহজেই দ্রুত পেটের গ্যাস কমাতে পারি, নিয়ত ব্যায়াম করা করার মাধ্যমে আমরা সুস্বাস্থ্যও অর্জন করতে পারব।
অ্যালোভেরার রস
অ্যালোভেরার রস পেটের হজমের সমস্যা দূর করার জন্য অনেক জনপ্রিয় যা নিয়মিত খাবার ফলে পেটের গ্যাস কমানো যেতে পারে। তবে অ্যালোভেরার রস খাবার ক্ষেত্রে আমাদের সচেতন থাকতে
হবে, কেননা ভালোভাবে পরিশোধিত করে রস পান না করলে আমাদের ডায়রিয়া সহ বিভিন্ন সমস্য
হতে পারে। এজন্য শুরুতে প্রতিদিন ২ চামচ করে অ্যালোভেরার রস খেতে পারেন।
তুলসী পাতা
তুলসী পাতার বিভিন্ন উপকারিতায় রয়েছে যা আমাদের বিভিন্ন রোগ থেকে সুস্থ হতো সাহায্য করে।
তবে তুলসী পাতা দ্রুত গ্যাস কমানোর উপায় গুলোর মধ্যে সেরা একটি উপায়, এটি অতি সহজেই পেটের গ্যাস কমে যেতে পারে। তুলসী পাতার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের উপাদান থাকে যেমন টারপেনয়েড তেল ইউজেনল, থাইমল এবং এস্ট্রাগোল এ সকল উপাদান পেটের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া গুলো দূর করতে সাহায্য করে।
তুলসী পাতা খাওয়ার একটি ভালো মাধ্যম হতে পারে তুলসী পাতার চা তৈরি করে খাওয়া। তুলসী পাতা
চা তৈরি করার জন্য প্রথমে এক কাপ গরম পানির মধ্যে কিছু তুলসী পাতা যোগ করতে হবে এবং স্বাদ বাড়ানোর জন্য আপনি এর মধ্যে আদা কুচি এবং এলাচ গুঁড়া দিতে পারেন। এগুলো দেওয়ার পরে ১০ মিনিট মিশ্রণটি ফুটিয়ে নিন এবং আপনার তুলসী পাতার চা খাবার জন্য প্রস্তুত।
বেকিং সোডা
বেকিং সোডা কে আমরা বিজ্ঞানের ভাষায় সোডিয়াম বাইকার্বোনেট ও বলে থাকি। এটি আমাদের
পেটের গ্যাস কমানোর জন্য অনেক কার্যকরী। এটি আমাদের পেটের অতিরিক্ত এসিড কমায় এবং গ্যাসের প্রভাব কমাতে অনেকটা সাহায্য করে। বেকিং সোডা খাওয়া অনেক সহজ একটি গ্লাসে
হালকা গরম পানির মধ্যে আধা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে পান করুন।
দই
আপনার পেটের গ্যাস কমানোর জন্য দই একটি ভালো উপকরণ হতে পারে কেননা দয়ের মধ্যে কিছু উপকারী ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যা হজম সহজ করে এবং আমাদের পেটের জন্য অত্যন্ত উপকারী। যখন আপনার পেটে খাবার ঠিকভাবে হজম হয় না তখনই পেটে বিভিন্ন ধরনের ব্যাটারি তৈরি হয় যা আমাদের পেটে ব্যথা তৈরি করে এবং অতিরিক্ত গ্যাস তৈরি থাকে। দই খাওয়ার ফলে উপকারী ব্যাকটেরিয়া খারাপ ব্যাটার সাথে লড়াই করে এবং আমাদের পেট থেকে অতিরিক্ত গ্যাস বের করে পেটের উন্নতিতে সাহায্য করে।
এই ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় গুলোর মধ্যে সেরা এবং এগুলো অতি সহজেই আপনারা বাসায় প্রয়োগ করতে পারবেন। এ সকল উপায় গুলো নিয়মিত অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার পাশাপাশি শারীরিক উন্নতিও হতে পারে।
সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না
আপনার পেটে অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা দূর করার জন্য আপনার জানা প্রয়োজন আর কোন খাবারগুলো গ্যাসের প্রভাব কমাতে পারে। পেটের গ্যাসের সমস্যা দূর করার জন্য কিছু খাবার সীমিত ভাবে খাওয়া প্রয়োজন এবং আপনি নিয়মিত সেই খাবারগুলো খাবার ফলে আপনার গ্যাসের সমস্যা অনেকটাই কমে যেতে পারে। দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় গুলোর মধ্যে এটি একটি সেরা উপায়।
প্রাণীজ প্রোটিন
প্রাণীজ প্রোটিন বা মাছ মাংস আমাদের আমাদের পেটে অতিরিক্ত গ্যাস তৈরি
করে না কারণ এর মধ্যে অত্যন্ত অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা শোষিত
কার্বোহাইড্রেট থাকে না। তাই পেটের গ্যাস কমানোর জন্য এ সকল খাবার খাওয়া
যেতে পারে।
- চর্বিহীন গরুর মাংস
- মুরগি
- ডিম
- মাছ
আপনি যদি সকল খাবার এড়িয়ে চলতে চান সেক্ষেত্রে চীনা বাদাম, মাখন এর মত
খাওয়ার গুলো খেতে পারেন যা আপনার পেটের গ্যাস তৈরি করে না।
শাকসবজি
শাকসবজি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এর মধ্যে
কার্বোহাইড্রেট কম, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে ভরপুর থাকে যার ফলে নিয়মিত শাকসবজি
খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্য এবং পেটের গ্যাসের সমস্যা দূর করতে উভয়
ক্ষেত্রেই উপকারী।
তবে পেটে গ্যাস কমানোর জন্য বিশেষ করে আপনি এই সকল সবজি নিয়মিত খেতে পারেনঃ
- গাজর
- বেগুন
- আলু
- কুমড়ো
- পালং শাক
- টমেটো
পেটে গ্যাস কমানোর জন্য আপনাকে যে সকল সবজি এড়িয়ে চলতে হবে তার মধ্যে
রয়েছে ব্রকলি, ফুলকপি, কলার শাকসবজি এবং মটরশুঁটি, মসুর ডালের ইত্যাদি।
ফল
আমরা নিয়মিত বিভিন্ন ফল খেতে কি এগুলো প্রোটিন এবং আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ভালো তবে এগুলো আমাদের পরিমাণ মতো খাওয়া প্রয়োজন কেন না বিভিন্ন ফলের কারণে আমাদের পেটের গ্যাস তৈরি হতে পারে। দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম, চলুন জেনে নেই কোন ফলগুলো আপনার পেটের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করেঃ
- কমলালেবু
- আঙ্গুর
- কলা
- আমড়া
- পেয়ারা
- লিচু
- কাঁঠাল
এই ফলগুলো খাবার ফলে আপনার গ্যাসের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম অপরদিকে যে ফলগুলো খাওয়ার ফলে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে সেগুলো হল আপেল, আম, নাশপাতি, আনারস এবং ফলের রস আমাদের এড়িয়ে চলতে হবে।
লেখকের শেষ কথা
গ্যাস জীবনের একটি স্বাভাবিক অংশ, এবং আপনি এটি সম্পূর্ণরূপে এড়াতে পারবেন না। তবে, যদি আপনার মনে হয় যে আপনার গ্যাস অতিরিক্ত, তাহলে আপনি কিছু অতিরিক্ত পদক্ষেপ নিতে পারেন।
- যে সকল খাবার খেলে পেটে গ্যাস হবার সম্ভাবনা কম সে সকল খাবার বেশি খাবার চেষ্টা করুন।
- আস্তে আস্তে চাপিয়ে খাওয়া চেষ্টা করুন যেন আপনার পেটে অতিরিক্ত বাতাস না যেতে পারে।
- খাওয়ার পরে নিয়মিত হাটুন কেননা এটা আমাদের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি পেটে গ্যাসের সাহায্য করে।
- আপনার পেটে গ্যাসের প্রভাব এবং ব্যথা যদি বেড়ে যায় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
আশা করি আমাদের আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা জানতে পেরেছেন যে কিভাবে আপনারা অতিরিক্ত পেটের গ্যাস কমাতে পারবেন। অতিরিক্ত পেটের গ্যাস কমানোর একটি সেরা মাধ্যম হলো নিজেদের খাদ্য তালিকা সঠিকভাবে নির্বাচন করা দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় গুলোর মধ্যে এটি সেরা। প্রিয় পাঠক আপনাদের সুবিধার্থে এই পোস্টটি লিখা আপনাদের যদি এ পোস্টটি সহায়ক মনে হয় তাহলে আপনার প্রিয়জনদের সাথে একটি শেয়ার করুন যেন তারাও জানতে পারে পেটে অতিরিক্ত গ্যাস হওয়ার কারণ, পেটে অতিরিক্ত গ্যাস হওয়ার লক্ষণ, গ্যাসের সমস্যা বাড়ে কোন খাবারে, দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর ঘরোয়া উপায়, সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না, লেখকের শেষ কথা।



টেক সমাজের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url